ক্যামেরার এপারের কোয়েল থেকে ওপারের সিমরন: কতটা আকর্ষণীয় ‘জবার মেয়ে’র ব্যক্তিগত জীবন
জনপ্রিয় বাংলা ধারাবাহিক ‘কে আপন কে পর’ যাঁরা নিয়মিত দেখেন, তারাই একমাত্র জানেন রিলের জবা আর পরমের মেয়ে কোয়েলের জীবনের টানাপোড়েনের কথা। রিলের জগৎ ছাড়িয়ে বাস্তবের কোয়েল অর্থাৎ সিমরন উপাধ্যায়কে নিয়েও কৌতূহল সাধারণ বাঙালির যথেষ্ট। জেনে নেওয়া যাক এই জুনিয়র অভিনেত্রীর জীবন সম্পর্কে কিছু না জানা কথা।
ইংরেজি সাহিত্যের চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্রী সিমরন পড়াশোনা নিয়ে বেশ সতর্ক। পড়াশোনার পাশাপাশি ছোটবেলা থেকেই নাচ শিখেছেন। ইন্ডাস্ট্রিতে আসার হাতে খড়িও কিন্তু সেই নাচের মাধ্যমেই। ২০১০ এ ‘ডান্স বাংলা ডান্স’ এ অংশ নিয়ে ইন্ডাস্ট্রির নজর কাড়েন ফুটফুটে এই অভিনেত্রী। এরপরই ‘রাগে অনুরাগে’, ‘কেয়ার করি না’, ‘বামা খ্যাপা’, ‘রাঙিয়ে দিয়ে যাও’, ‘কি করে তোকে বলব’ এর মত জনপ্রিয় ধারাবাহিকগুলিতে করে ফেলেন অভিনয়। বর্তমানে দুই বছর হল ‘কে আপন কে পর’ এ চুটিয়ে অভিনয় করে যাচ্ছেন। অভিনয়ের জন্য ইতিমধ্যেই অর্জন করেছেন ‘স্টার জলসা পরিবার এওয়ার্ড’। ‘ক্লাস রুম’, ‘রাজা রাণী রাজি’ সিনেমাতেও দেখা গেছে ছোটপর্দার এই জুনিয়র অভিনেত্রীকে।
ক্যামেরায় কোয়েলকে প্রেম-রোমান্সের অভিনয় করে দেখাতে হলেও ক্যামেরার পিছনের সিমরন কিন্তু নিজেকে একা(সিঙ্গেল) বলে দাবি করে থাকেন। প্রেম বা রোমান্টিকতার বদলে শুটিং শেষ হলে নিজের অন্যান্য কাজেই ডুবে যেতে পছন্দ করেন তিনি। তবে গল্প করা, আড্ডা দেওয়া কিংবা ভ্রমণও ভীষণ প্রিয় তাঁর। ভালোবাসেন চকোলেট কিংবা আইসক্রিমের স্বাদ নিতেও।
অভিনয়ের জগতে থাকলেও অভিনয়-ক্ষেত্র ছাড়াও অন্য বিষয় নিয়েও চিন্তা ভাবনা রয়েছে সিমরনের। ছোট থেকেই খেলাধূলাভক্ত তিনি, এই কারণে ক্রীড়া-সাংবাদিকতা নিয়েও পড়ার ইচ্ছা তাঁর। অবশ্য অভিনয়ের সময়েও যথেষ্ট পেশাদারিত্বের ছাপ লক্ষ্য করা যায় সিমরনের মধ্যে।
View this post on Instagram
This is how i try to lose cheek fat in between shots🤦🏻♀️🤷🏻♀️ #My everyday life struggle 🙁
জটিল সমস্যার অন্যতম বিন্দু ত্রিকোণ প্রেমের ঘাত-প্রতিঘাত চলছে এই মুহূর্তে সিমরন, থুড়ি কোয়েলের জীবনে। এরমধ্যেই বাস্তব জগতের সিমরনের জীবনের ঘাত-প্রতিঘাতকে এক ঝলকে এঁকে রাখা গেল বিনোদন জগতের পাতায়।
View this post on Instagram
Throwback to our ‘gram outing’😂 Literally the best team i can ever work with😭💙 #kakp