whatsapp channel

জলপাইগুড়ির এই হনুমান মন্দিরে আজও পূজিত হন দেশনায়ক সুভাষচন্দ্র বসু

জলপাইগুড়ির এক হনুমান মন্দিরে হনুমানজির সঙ্গে আজও পূজিত হন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। এই ঘটনা বহুদিন আগেকার। এমন অদ্ভুত ঘটনা পশ্চাতে রয়েছে এক রহস্য। শুধু তাই নয়, নেতাজী সুভাষ চন্দ্রের জন্মদিনও…

Avatar

HoopHaap Digital Media

জলপাইগুড়ির এক হনুমান মন্দিরে হনুমানজির সঙ্গে আজও পূজিত হন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। এই ঘটনা বহুদিন আগেকার। এমন অদ্ভুত ঘটনা পশ্চাতে রয়েছে এক রহস্য। শুধু তাই নয়, নেতাজী সুভাষ চন্দ্রের জন্মদিনও এইখানে পালন করা হয়।

বহুদিন আগে তখন সদ্য দেশ স্বাধীন হয়েছে। তখন যখন হঠাৎ করে নেতাজি সুভাষচন্দ্র দেশ থেকে হারিয়ে গেলেন, তখন তার এই অন্তর্ধান রহস্য নিয়ে দেশজুড়ে বেশ চর্চা চলছে। ঠিক সেইসময় জলপাইগুড়িতে মাসকলাই বাড়ি নামক এক এলাকায় এক রহস্যময় মানুষের আবির্ভাব হয়। তিনি কোথা থেকে এলেন, কেন এলেন, কিছুই জানা যায়নি। শুধু দেখা গেল, গাছের তলায় তিনি একটি কাপড় পড়ে বসে আছে। তার শরীরে এক মৌনতার ছাপ। তবে তার মনের মধ্যে রয়েছে নেতাজির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা। এই মানুষটি পরবর্তীকালে গ্রামের মানুষের কাছে ‘করপত্রিজি মহারাজ’ নামে পরিচিত হন। তিনি এতটাই নেতাজি ভক্ত ছিলেন যে, এই মন্দিরে হনুমানজির পাশাপাশি তার ইচ্ছাতেই নেতাজির ও পুজো করা হয়।

জলপাইগুড়ির এই হনুমান মন্দিরে আজও পূজিত হন দেশনায়ক সুভাষচন্দ্র বসু
রাধাকৃষ্ণের পাশাপাশি চলছে নেতাজির পুজো জলপাইগুড়ির হনুমান মন্দিরে

ওখানকার সাধারন মানুষ মনে করেন করপত্রিজি ছিলেন নেতাজির ‘সহযোদ্ধা’। সুভাষচন্দ্র এর অন্তর্ধান এর পরই তিনি জলপাইগুড়িতে এসে আত্মগোপন করেন। এমনটাই সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করেন। ভারতমাতার একজন যোগ্য সন্তান হিসাবে নেতাজি সুভাষচন্দ্র পূজিত হন ঈশ্বর রূপে। দেশকে স্বাধীন করার জন্য সুভাষচন্দ্রের অবদান অনস্বীকার্য। দেশবাসী হিসাবে তাকে ফেরত দেওয়ার আমাদের কিছুই নেই। কিন্তু এইভাবে তাঁকে ঈশ্বরের আসনে বসিয়ে, তাঁর এই অবদানকে আমরা অনেকটাই শ্রদ্ধা জানাতে পারি, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

whatsapp logo
Avatar
HoopHaap Digital Media