মাদক-কান্ডে হাই প্রফাইলে জেরা শুরু। দীপিকাকে প্রথম রাউন্ডের জেরা শেষ। দীপিকার ফোন ইতিমধ্যে ফরেন্সিকে পাঠানো হয়েছে। এনসিবি অফিসের বাইরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আটোসাঁটো। ব্যাপক পুলিস বাহিনী মোতায়ন করা হয়েছে। এদিকে দ্বিতীয় দফার জেরা শুরু হয়ে গিয়েছে। দীপিকাকে তাঁর ম্যানেজার করিশ্মার মুখোমুখি বসানো হয়েছে। ড্রাগ চ্যাট দেখিয়েই প্রশ্ন করা হচ্ছে দুজনকে -সুত্রের খবর। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবরে, দীপিকা তাঁর ড্রাগ চ্যাটের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। এই ব্যপারে দীপিকার থেকে লিখিত উত্তর নিয়েছেন এনসিবি-র আধিকারিকরা।
পাশাপাশি ৬ জনের টিম শ্রদ্ধা কাপুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। ড্রাগ পার্টি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন আধিকারিকরা। প্রসঙ্গত, গতকালই রাকুলকে চার ঘণ্টা জেরা করেছে এনসিবি-র টিম। সূত্রের খবর অনুযায়ী, রাকুল জানিয়েছেন, রিয়ার সঙ্গে তাঁর যে মাদক সংক্রান্ত চ্যাট প্রকাশ্যে এসেছে তা সত্যি। তবে তিনি নিজে কোনওদিনও মাদক নেননি।
পাশাপাশি, সুশান্তের প্রাক্তন ট্যালেন্ট ম্যানেজার জয়া সাহার সঙ্গে শ্রদ্ধা কপূরের মাদক সংক্রান্ত একটি চ্যাট প্রকাশ্যে আসতেই এনসিবি’র নজরে আসেন শ্রদ্ধা কাপুর। সেই চ্যাটে জয়া শ্রদ্ধাকে লিখেছিলেন, “সিবিডি অয়েল তোমার জন্য সংগ্রহ করে রেখেছি। পাঠিয়ে দেব”। প্রত্যুত্তরে শ্রদ্ধা লেখেন, “ধন্যবাদ। আমি এসএলবির সঙ্গে দেখা করতে আগ্রহী।”
সুশান্তের পাবনার বাগান বাড়িতে সারার পার্টি করা নিয়ে প্রশ্ন রাখেন আধিকারিকরা। এমনকি সারার সঙ্গে সুশান্তের সম্পর্ক নিয়েও প্রশ্ন রাখেন এনসিবি-র কর্মকর্তারা। প্রসঙ্গত, জেরার মুখে রিয়া চক্রবর্তী জানিয়েছিলেন, ‘কেদারনাথ’ শুটের সময়েই মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন সুশান্ত। তখন থেকেই তিনি নাকি সিগারেটের মধ্যে গাঁজা পুরে খাওয়ার অভ্যাস করেছিলেন।