‘ভালো চিকিৎসা পেলে বেঁচে যেতাম’, আফসোস নিয়েই করোনায় প্রয়াত ৩৫-এর ইউটিউবার
মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগেই রাহুল বুঝতে পেরেছিলেন যে আর হাতে সময় নেই। মরতেই হবে। কে চায় মরতে? কিন্তু মরতে তো হবেই। এই মরতে হবে জেনেও সকলের কাছে আর্জি ছিল অক্সিজেন আর হাসপাতালের বেড। সোশ্যাল মিডিয়া শক্তিশালী মাধ্যম, এই মাধ্যমের হাত ধরে মনের কথা প্রকাশ করেছিলেন রাহুল। বাঁচার জন্য আর্তি ছিল প্রতিটা শব্দে। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় আগ্রাসনে হারিয়ে যান রাহুল ভোরা ( Rahul Vohra)। মৃত্যু কালে তার বয়স ছিল মাত্র ৩৫.
বিগত ৬ দিন আগে রাহুল ফেসবুক সকলের উদ্দেশ্যে লেখেন যে তিনি কোভিড পজিটিভ। তিনি হাসপাতালের হদিস চান এবং অক্সিজেনের। ঠিক ৬ দিন পর তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পুনরায় লেখেন। রাহুল লেখেন শেষ বারের মত তার মৃত্যু জেনেও,“যদি আমারও চিকিৎসা হতো তাহলে আমিও বেঁচে যেতাম।” এরপরই রাহুল প্রধানমন্ত্রী ও দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রীকে ট্যাগ করে জানান তিনি দিল্লির রাজীব গান্ধী সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের (Rajeev Gandhi Super Speciality Hospital) ভরতি। বেড নম্বর ৬৫৫৪। যদিও সেই বেডে হয়তো এখন অন্য রোগী রয়েছে। কারণ রবিবার সকালেই ৩৫ বছরের ইউটিউবারের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। নিজের পোস্টে রাহুল শেষ বার সাহস, আশা, ইচ্ছা নিয়ে লিখেছিলেন, “খুব তাড়াতাড়ি আবার জন্মাব আর ভাল কাজ করব। এবার সাহস হারিয়ে ফেলেছি।”
দিল্লী এবং মুম্বাইয়ের অবস্থা খুবই খারাপ এই মুহূর্তে। এত জনসংখ্যা, অপরিচ্ছন্ন, হাসপাতাল থাকলেও বেডের অভাব, অক্সিজেনের অভাব, আবার কখনো কখনো অর্থের ও যোগাযোগের অভাব। সব মিলিয়ে দেশের রাজধানী একদম পঙ্গু।
কোনো মানুষ মৃত্যুর আগে কলম ধরেন, লেখেন তার মৃত্যুর খবর। জানান দেন যে তিনি আর বাঁচবেন না। সব জেনেও আবার জন্ম নেওয়ার সাহস দেখলেন এই থিয়েটার কর্মী এবং ইউটিউবার তরুণ প্রাণ। আবারও লিখতে ইচ্ছা করছে রাহুলের কথা গুলো, “খুব তাড়াতাড়ি আবার জন্মাব আর ভাল কাজ করব। এবার সাহস হারিয়ে ফেলেছি।” চোখের জলে বিদায় নেওয়া এই প্রতিভাকে বহু নেট জনতা ভেঙে পড়েছেন।