নারী শক্তির জয় জয়কার! থিয়েটারকর্মী হয়েও প্রথা ভেঙে জোমাটো ডেলিভারি কন্যা সংগীতা
নারীরা সেই কবে থেকেই তাদের চারপাশে কেটে দেওয়া সীমারেখা থেকে বেরিয়ে নিজের পেশা, নিজের নেশা কে সঙ্গী করে এগিয়ে চলেছে। সাধের দিকে আবারও আর একটা প্রথা ভেঙে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার লড়াই এর সাক্ষী রইল গোটা সোশাল মিডিয়া। নারীরা চাইলেই যে সব করতে পারে তা প্রমাণ করে দিয়েছেন বেলেঘাটার বাসিন্দা সংগীতা।
রবীন্দ্র ভারতের নাট্য বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করেছিলেন তিনি। নেশায় একজন নাট্যকর্মী হয়েও তিনি পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছেন জোমাটো ডেলিভারিকে। তবে তার এই কাজটা করা খুব একটা সহজ ছিল না, যে সমাজে আমরা বাস করি সেই সমাজে মানুষ একটু অন্যরকম কাউকে কিছু করতে দেখলেই অমনি তার দিকে তেড়ে মেরে ওঠে। যেন মনে হয় সে ভয়ংকর কিছু একটা অন্যায় কাজ করে ফেলেছে। তার ওপরে আবার মেয়ে হয়ে রাত্রিবেলা লোকের বাড়ি বাড়ি খাবার ডেলিভারি দেওয়া, তাকে সমাজ কতটা খারাপ চোখে দেখে তার প্রমাণ পেয়েছেন সংগীতা। তাইতো তিনি সমাজের উদ্দেশ্যে বলেন, আমার কাছে লোক না ঠকিয়ে যে কাজ করা হয় তা সম্মানের।
ছোটবেলা থেকে আর পাঁচটা মেয়ে যেমন পুতুল খেলতে ভালোবাসতো সঙ্গীতা তেমনটা ছিল না। মাঠে গিয়ে দৌড়তে ভালবাসতেন তিনি। জীবনটা তার কাছে কখনোই থেমে থাকার নয়। বরাবরই যেমনটা নিজে পছন্দ করতেন তেমনভাবেই জীবন কাটাতে চেয়েছেন তিনি। ইংরেজিতে অনার্স নিয়ে ভর্তি হয়েও ভালো লাগেনি বলে ছেড়ে দেন কলেজ, ভর্তি হন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে থিয়েটার নিয়ে পড়বেন বলে। ছোট বেলা থেকেই বাইক চালাতে পারেন তিনি। সেই পারাটাকেই কাজে লাগিয়ে আপাতত তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় মধ্যমনি। কোনো কাজ ছোট নয়, সৎ পথে থেকে রোজগার করা কোনো অন্যায় নয়। এই আদর্শের বানী সে সবার কাছে পৌঁছে দিচ্ছে।