Hoop Life

সন্তান জন্মানোর পর স্ত্রীর প্রতি বিতৃষ্ণা! কিভাবে আবার পুরোনো বন্যতায় মেতে উঠবেন জানুন

পৃথিবীতে সন্তান আসা খুব আনন্দের। কিন্তু প্রথম সন্তান আসার পর আপনার সঙ্গে আপনার স্ত্রী যদি শারীরিক সম্পর্কের দূরত্ব ক্রমশ কমতে থাকে তা কিন্তু সত্যি খুব কষ্টকর। কারণ সম্পর্কের বাঁধন অনেকটাই নির্ভর করে শারীরিক সম্পর্কের উপর। শারীরিক সম্পর্ক যদি ঠিকঠাক না হয় তাহলে মানসিকভাবে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। অনেক সময় প্রথম সন্তান জন্মানোর পর বেশ কিছুদিন চিকিৎসক শারীরিক সম্পর্ক করার অনুমতি দেন না। এছাড়াও হবু মায়ের শারীরিক ভাবে নানান রকম পরিবর্তন হয়। নরমাল ডেলিভারি হোক কিংবা সিজারিয়ান সব ক্ষেত্রেই মায়েদের ব্যথা-বেদনায় কাবু হয়ে থাকে। তাছাড়া নতুন সন্তানকে লালন-পালন করতে গিয়ে অনেক সময় স্বামী মানুষটির প্রতি যত্নবান হওয়ার সময় থাকেনা। সব মিলিয়ে এই হবু মা-বাবার মধ্যে এক দূরত্ব তৈরি হয়।

সন্তান প্রসবের পর পর সেক্স করার অনুমতি দেন না। চিকিৎসকরা। বিশেষ করে প্রথমবার সন্তান জন্ম দেওয়া মায়েদের এ ব্যাপারে অনেকবেশি সচেতন থাকা প্রয়োজন। নর্মাল ডেলিভারি হলে, বেশ কয়েকটা সপ্তাহ বিরতি প্রয়োজন। কেননা, সন্তান প্রসবের সময় যৌনাঙ্গের নালীর টিশু ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়।  সন্তানের হাতে-পায়ের নখে কেটেও যায়। সেই ক্ষত সারতে সময় লাগে। অন্যদিকে সিজ়েরিয়ান পদ্ধতিতে প্রসব হলে, তলপেটের ক্ষত সারতে চায় না।

অপেক্ষা করা দরকার। নরমাল ডেলিভারিতে বাচ্চা হয়, তাহলে অন্ততপক্ষে ছয় সপ্তাহ একেবারেই শারীরিক সম্পর্ক করা উচিত নয়। কারণ এই আগের দশ মাস অর্থাৎ গর্ভবতী থাকাকালীন মায়ের শরীরের নানান রকম হরমোনাল পরিবর্তন দেখতে পাওয়া যায়। যৌন সম্পর্ক যাবে ৬ সপ্তাহ পর থেকেই। তাও যদি প্রসবের সময় কোনও ধরনের জটিলতা না থাকে। যদি সিজারিয়ান ডেলিভারি হয়, তবে অপেক্ষা করতে হবে আরও ৩ মাস। শুরুর প্রথম কয়েক সপ্তাহ প্রতিদিন সেক্স করা উচিত নয়। সপ্তাহে দু’তিনবার যথেষ্ট কারণ যৌনাঙ্গের মুখের ক্ষত সেরে গেলেও ইউটেরাস কিন্তু তখনও বেশ কমজোরি থাকে।কোন সন্তান জন্ম লাভের পরেও নিজেকে যদি স্বামীর কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে চান তাহলে অবশ্যই নিচের কতগুলি জিনিস খেয়াল রাখতে হবে। নিয়মিত যোগাভ্যাস প্রাণায়াম করতে হবে। খাবারের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। সন্তান জন্ম লাভের পর পেটের চামড়া ছোট হয়ে গিয়ে অনেক বিশ্রী দেখতে লাগে। তাই পেটে বা শরীরের বিভিন্ন জায়গাতে নিয়মিত অয়েল মাসাজ করতে হবে। নতুন অতিথিকে লালন-পালন করার পাশাপাশি স্বামী মানুষটির সঙ্গে সময় কাটাতে হবে। কোন অসুবিধা হলে তার সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

Related Articles