ছোট দামে বড় চমক, বাজাজের এই নতুন গাড়িতে মিলবে স্মার্ট ফিচার্স ও জবরদস্ত মাইলেজ

অপরিকল্পিত যানজটে হাঁসফাঁস করছে শহরের প্রতিটি রাস্তা। এর মধ্যেই আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে বাজাজের ‘Qute’—দেশের প্রথম কোয়াড্রিসাইকেল। ছোটখাটো এই বাহনটি ইতিমধ্যেই জনপ্রিয়তার পথে হাঁটতে শুরু করেছে।

বাজাজ কিউট মূলত বানানো হয়েছে শহরের ভেতর চলাচলের জন্য। বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য তৈরি হলেও, ব্যক্তিগত পরিবহনের ক্ষেত্রেও এটি এক অনন্য বিকল্প হয়ে উঠছে। গাড়িটিতে রয়েছে ২১৬.৬ সিসি-র একটি সিঙ্গল সিলিন্ডার লিকুইড-কুলড DTSi ইঞ্জিন। পেট্রোল ভার্সনে পাওয়া যায় ১৩.১ পিএস শক্তি ও ১৮.৯ এনএম টর্ক, আর সিএনজি ভার্সনে শক্তি কিছুটা কমে দাঁড়ায় ১০.৯৮ পিএস ও ১৬.১ এনএম।

এই ছোট গাড়িটির অন্যতম আকর্ষণ—জ্বালানি দক্ষতা। পেট্রোল সংস্করণ প্রতি লিটারে প্রায় ৩৫ কিমি ও সিএনজি সংস্করণ প্রতি কেজিতে প্রায় ৪৩ কিমি পথ অতিক্রম করতে সক্ষম।মাত্র ২,৭৫২ মিমি লম্বা, ১,৩১২ মিমি চওড়া ও ১,৬৫২ মিমি উঁচু এই গাড়িটির ওজন মাত্র ৪০০ কেজি। যার ফলে ঘিঞ্জি শহরের গলিপথেও অনায়াসে ঘোরাফেরা করতে পারে। এর ৩.৫ মিটার টার্নিং রেডিয়াস এবং সর্বোচ্চ গতি ৭০ কিমি/ঘণ্টা হওয়ায় এটি চালনার ক্ষেত্রে নিরাপদ ও সহজ।

গাড়িটিতে ২+২ আসনের বন্দোবস্ত রয়েছে, অর্থাৎ চারজন যাত্রী একসঙ্গে যাতায়াত করতে পারবেন। রয়েছে ৫-স্পিড সিকোয়েনশিয়াল ম্যানুয়াল গিয়ারবক্স ও ৩৫ লিটারের ফুয়েল ট্যাঙ্ক।মূল্যও সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে। মহারাষ্ট্রে এক্স-শোরুম দাম শুরু হয়েছে ২.৪৮ লাখ থেকে, আর কলকাতায় এর প্রারম্ভিক দাম ₹৪ লাখের কাছাকাছি। অর্থাৎ, একদিকে যেখানে অটো বা ট্যাক্সি পরিষেবা ধীরে ধীরে ব্যয়বহুল হয়ে উঠছে, সেখানে বাজাজ কিউট হতে পারে এক সাশ্রয়ী ও কার্যকর বিকল্প।

যদিও নিরাপত্তার দিক থেকে এটি কিছুটা পিছিয়ে—২০১৬ সালে ইউরো NCAP কোয়াড্রিসাইকেল রেটিং-এ ১-স্টার পেয়েছে এই গাড়িটি। তবে, সরকারের অনুমোদন পাওয়া ২২টি রাজ্যে এর চলাচল বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে মহারাষ্ট্র, গুজরাত, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশা, কেরালা সহ অন্যান্য রাজ্য।সবমিলিয়ে, বাজাজ কিউট যেন শহরের পরিবহণ ব্যবস্থায় এক নতুন আশা। কম জায়গায় চলার সুবিধা, কম খরচ ও পরিবেশবান্ধব বিকল্প হিসেবে এই গাড়ি ভবিষ্যতের শহুরে যানবাহনের সংজ্ঞা বদলে দিতে পারে বলেই মনে করছেন অনেক পরিবহণ বিশেষজ্ঞ।