Home Shorts Videos Gallary Join
প্রথম পাতা খবর বিনোদন OTT ওয়েব সিরিজ লাইফস্টাইল তথ্য প্রযুক্তি

Bangla Awas Yojana: মে পর্যন্ত আবাস যোজনার টাকা! বাংলার বাড়ি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নতুন ঘোষণা

রাজ্য সরকারের বাংলার বাড়ি প্রকল্পে আবারও বড় ঘোষণা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, নতুন করে আরও ১৬ লক্ষ পরিবারকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। এই পরিবারগুলি পাচ্ছেন বাড়ি নির্মাণের প্রথম কিস্তি হিসেবে ৬০,০০০। রাজ্য সরকার নিজস্ব তহবিল থেকেই এই অর্থ বরাদ্দ করছে, কারণ কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে এই মুহূর্তে কোনও অনুদান পাওয়া যায়নি। এর আগে, গত ডিসেম্বর মাসে ১২ লক্ষ উপভোক্তাকে প্রথম কিস্তির টাকা সরাসরি দেওয়া হয়েছিল। ফলে, নতুন ঘোষণার পর মে মাস পর্যন্ত মোট ২৮ লক্ষ পরিবার এই প্রকল্পের সুবিধাভোগী হবেন।

এই অনুদান এককালীন নয়। প্রথম কিস্তির পরবর্তী অর্থ পাওয়ার জন্য কিছু শর্ত মানতে হবে উপভোক্তাদের। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, লিন্টন পর্যন্ত নির্মাণ শেষ না হলে দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ অনুমোদন করা হবে না। এই শর্ত সরকারের নতুন SOP (Standard Operating Procedure)-এর আওতায় পড়ে, যার মাধ্যমে পুরো প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ এবং কার্যকর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, এর আগে প্রায় ৪৭ লক্ষ পরিবার ইতিমধ্যেই বাংলার বাড়ি প্রকল্পের আওতায় ঘর তৈরি বা পুনর্নির্মাণের সহায়তা পেয়েছে। নতুন এই ১৬ লক্ষ উপভোক্তা যুক্ত হলে মোট উপকৃত পরিবারের সংখ্যা আরও বাড়বে।

এই বরাদ্দের মেয়াদ কার্যকর থাকবে মে মাস পর্যন্ত। এরপর ফের নতুন বরাদ্দ আসবে কি না, তা নির্ভর করবে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত ও কেন্দ্রীয় অনুদানের প্রাপ্যতার ওপর। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের গরিব ও নিম্নআয়ের মানুষের বাসস্থান সংক্রান্ত সমস্যা দূর করার লক্ষ্যে ধারাবাহিকভাবে কাজ চলছে। “বাংলার বাড়ি” এখন শুধু একটি প্রকল্প নয়, বহু মানুষের কাছে আত্মমর্যাদা ও নিরাপদ বাসস্থানের প্রতীক।

 FAQ: পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন

১. কতজন পরিবার নতুনভাবে এই সুবিধা পাবে?
– মোট ১৬ লক্ষ পরিবার নতুনভাবে প্রথম কিস্তির আওতায় এসেছে।

২. প্রথম কিস্তিতে কত টাকা দেওয়া হবে?
– প্রতিটি উপভোক্তাকে ৬০,০০০ টাকা দেওয়া হবে।

৩. এই বরাদ্দ কতদিন কার্যকর থাকবে?
– মে মাস পর্যন্ত এই নতুন বরাদ্দ প্রযোজ্য থাকবে।

৪. দ্বিতীয় কিস্তির টাকা কীভাবে পাওয়া যাবে?
– ঘরের নির্মাণ কাজ লিন্টন পর্যন্ত সম্পন্ন হলে দ্বিতীয় কিস্তি দেওয়া হবে।

৫. কেন্দ্রীয় সাহায্য ছাড়াই রাজ্য কিভাবে চালাচ্ছে প্রকল্প?
– রাজ্য সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে এই বরাদ্দ চালু রেখেছে।