লোকাল ট্রেন মানেই ভিড়, গরম আর ঠাসাঠাসি। কিন্তু এবার সেই পরিচিত চিত্র বদলাতে চলেছে। পূর্ব ভারতের প্রথম এসি লোকাল ট্রেন এসে পৌঁছেছে বাংলায়। এটি শুধু প্রযুক্তিগত উন্নয়ন নয়, নিত্যযাত্রীদের জন্য এক নতুন আরামদায়ক অধ্যায়ের সূচনা।চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে তৈরি হওয়া এই আধুনিক এসি ইএমইউ (EMU) রেকটি ইতিমধ্যে হাওড়া ও দমদম হয়ে রানাঘাট ডিভিশনে পৌঁছেছে। ট্রায়ালের জন্য প্রস্তুত ১২ কোচের এই ট্রেনটি সম্পূর্ণ স্টেইনলেস স্টিলের তৈরি এবং প্রায় ১১০ কিমি/ঘণ্টা গতি তুলতে সক্ষম।
এই এসি লোকাল ট্রেন হল ভারতের মধ্যে দ্বিতীয় এবং পূর্ব ভারতের প্রথম। এতে রয়েছে স্লাইডিং দরজা, স্বয়ংক্রিয় ডাবল-লিফ দরজা, সিসিটিভি নজরদারি, জিপিএস চালিত ডিজিটাল ডিসপ্লে, পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেম এবং পাইলটের সঙ্গে ‘টক-ব্যাক’ কমিউনিকেশন প্রযুক্তি। কোচগুলিতে দেওয়া হয়েছে অ্যালুমিনিয়ামের লাগেজ র্যাক ও বড় ডাবল গ্লেজড উইন্ডো যা যাত্রায় আরও আরাম এনে দেবে।
যাত্রা খরচও যাত্রীবান্ধবভাবে নির্ধারিত হয়েছে। ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত ভাড়া মাত্র ২৯ এবং ১১-১৫ কিলোমিটারের জন্য ₹৩৭। মাসিক পাসের খরচ যথাক্রমে ৫৯০ ও ৭৮০। অর্থাৎ সাধারণ মধ্যবিত্তের পক্ষে সহজলভ্য হবে এই উন্নত পরিষেবা।রেলের তরফে জানানো হয়েছে, সফল ট্রায়াল পর্বের পর এই এসি ট্রেনটি নিয়মিতভাবে যাত্রী পরিবহনে ব্যবহৃত হবে। আরেকটি এসি রেকও খুব শীঘ্রই পৌঁছবে বলে জানা গেছে। ফলে শহরতলির লক্ষাধিক নিত্যযাত্রী পাবেন স্বস্তির ছোঁয়া।
FAQ (প্রশ্নোত্তর)
১. পশ্চিমবঙ্গে এই এসি লোকাল ট্রেন কবে থেকে চালু হবে?
ট্রায়াল পর্বের পর নিয়মিত পরিষেবা শীঘ্রই চালু হবে বলে রেল সূত্রে জানা গেছে।
২. এই এসি ট্রেনে কোন কোন প্রযুক্তিগত সুবিধা রয়েছে?
স্লাইডিং দরজা, স্বয়ংক্রিয় দরজা, সিসিটিভি, জিপিএস, ডিজিটাল ডিসপ্লে ও পাইলটের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে।
৩. ট্রেনটির সর্বোচ্চ গতি কত?
এই এসি লোকাল সর্বোচ্চ ১১০ কিমি/ঘণ্টা গতিতে চলতে পারবে।
৪. যাত্রীদের জন্য কত টাকার টিকিট নির্ধারণ করা হয়েছে?
১০ কিমি পর্যন্ত ২৯ এবং ১১-১৫ কিমি দূরত্বে ৩৭ ভাড়া ধার্য হয়েছে। মাসিক পাস ৫৯০ ও ৭৮০।
৫. এই রুটে আরও এসি ট্রেন আসবে কি?
হ্যাঁ, দ্বিতীয় এসি রেকও খুব শীঘ্রই রাজ্যে আসছে বলে জানানো হয়েছে।