আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ফের সক্রিয় হতে চলেছে মৌসুমি বায়ু। আবহাওয়ার পরিবর্তনের জেরে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। বজ্রপাতের সতর্কতা সহ তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা থাকায়, রাজ্যের একাধিক জেলায় প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে প্রশাসনকে।আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, পরবর্তী তিনদিন ধরে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের অনেক জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। মূলত বঙ্গোপসাগরের উপর একটি নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়েছে, যার প্রভাবে রাজ্যজুড়ে মেঘ জমে গিয়েছে এবং আর্দ্রতা বেড়ে গিয়েছে। এই মেঘ থেকেই বজ্রপাত ও ঝোড়ো হাওয়ার সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা সহ একাধিক জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। ঝোড়ো হাওয়ার বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কুচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে ঝড়ের সম্ভাবনা আরও বেশি। সেখানে হাওয়ার বেগ ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
এছাড়াও আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রায় সামান্য হ্রাস ঘটবে বলে জানানো হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা কিছুটা কমে যেতে পারে, বিশেষ করে বৃষ্টির পরে দিনের তাপমাত্রা ২–৩ ডিগ্রি পর্যন্ত হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে হঠাৎ করে হাওয়ার ওঠানামাও নজরে আসতে পারে।আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, বজ্রপাতের সময় খোলা জায়গায় থাকা একেবারেই বিপজ্জনক। নদী, জলাশয় কিংবা মাঠের ধারে না থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে সাধারণ মানুষকে। বাইরে বের হলে ছাতা বা রেইনকোট রাখার পাশাপাশি, যদি সম্ভব হয় তাহলে ঘরের মধ্যেই থাকার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
FAQ – পাঠকের সাধারণ ৫টি প্রশ্নের উত্তর
১. কোন কোন জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি রয়েছে?
উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কুচবিহার ও আলিপুরদুয়ার এবং দক্ষিণবঙ্গের কলকাতা, হাওড়া, হুগলি ও দুই মেদিনীপুরে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
২. কোথায় বজ্রপাতের আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি?
দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় এবং উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি জেলাগুলিতে বজ্রপাত সহ ঝোড়ো হাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
৩. বাতাসের গতি কতটা হতে পারে?
দক্ষিণবঙ্গে সর্বোচ্চ ৪০ কিমি/ঘণ্টা এবং উত্তরবঙ্গে সর্বোচ্চ ৫০ কিমি/ঘণ্টা গতিতে হাওয়া বইতে পারে।
৪. জনসাধারণ কী ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করবেন?
বজ্রপাতের সময় খোলা জায়গা বা জলাশয়ের পাশে না থেকে নিরাপদ স্থানে থাকতে বলা হয়েছে। ঘন মেঘ বা বৃষ্টি শুরু হলে বাড়ির ভিতরে থাকা উচিত।
৫. তাপমাত্রা কি খুব বেশি কমে যাবে?
তাপমাত্রা সামান্য কমবে; তবে হঠাৎ ওঠানামা হতে পারে, বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরে কিছুটা ঠান্ডা অনুভূত হতে পারে।