পেনশন কোনও দয়া নয়, এটা অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের আইনসিদ্ধ অধিকার—এই বার্তাই দিল কলকাতা হাই কোর্ট। সম্প্রতি ১৪৮ জন প্রাক্তন গ্রুপ ডি কর্মীর পেনশন বন্ধ থাকায় আদালত কড়া অবস্থান নিয়েছে এবং দ্রুত বকেয়া মেটানোর নির্দেশ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট পুরসভাকে। ডিজিটাল পেনশন ব্যবস্থায় রূপান্তরের জেরে সমস্যার সূত্রপাত। যাঁদের পদনাম পরিবর্তিত হলেও তাঁরা ই-পেনশন পোর্টালে রেজিস্ট্রেশন করাতে পারেননি। ফলে তাঁদের পেনশন আটকে যায়। এই বিষয়ে আদালতে দায়ের হওয়া মামলায় বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্ত মন্তব্য করেন, “পেনশন বিলম্বিত হলে তা ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। এমনকি একদিনের দেরিও মেনে নেওয়া যায় না।”
আদালতের নির্দেশ কী বলছে?
আদালত পুরসভাকে এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত অবসরপ্রাপ্ত কর্মীর বিস্তারিত তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। সেই সঙ্গে দুই সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের পদ পুনর্নির্ধারণ করে “কনজারভেন্সি ওয়ার্কার” হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। যদি অনুমোদিত পদসংখ্যা কম হয়, তবে অবিলম্বে অতিরিক্ত (supernumerary) পদ তৈরি করে সকল কর্মীকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে বলেও জানানো হয়েছে। পুনঃনিয়োগের পর চার সপ্তাহের মধ্যে পেনশন ও অন্যান্য অবসরকালীন ভাতা প্রদান করতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। এই নির্দেশিকা শুধুমাত্র ১৪৮ জন অবসরপ্রাপ্ত কর্মীর জন্য নয়, ভবিষ্যতে এমন ঘটনাগুলি রুখে দেওয়ার ক্ষেত্রেও একটি বড় বার্তা হয়ে রইল।
কোন প্রশ্নগুলির উত্তর আপনার জানা জরুরি?
১. কারা এই মামলার আওতায় পড়ছেন?
→ অবসরপ্রাপ্ত ১৪৮ জন গ্রুপ ডি কর্মী, যাঁদের পদনাম পরিবর্তনের পরে ই-পেনশন পোর্টালে নাম নথিভুক্ত হয়নি।
২. পেনশন বন্ধ থাকার প্রধান কারণ কী?
→ ডিজিটাল পেনশন ব্যবস্থায় স্থানান্তর এবং সেইসঙ্গে যথাযথভাবে কর্মীদের পদনাম আপডেট না হওয়া।
৩. আদালতের নির্দেশ কার্যকর না হলে কী হতে পারে?
→ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
৪. সুপারনিউমারারি পদ কী?
→ অনুমোদিত পদের বাইরে অস্থায়ীভাবে তৈরি পদ, যাতে কর্মী নিয়োগ বা সুবিধা প্রদান সম্ভব হয়।
৫. এই রায়ের প্রভাব ভবিষ্যতের জন্য কী হতে পারে?
→ ডিজিটাল পেনশন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও নির্ভুল তথ্য আপডেটের প্রতি আরও গুরুত্ব আরোপ করা হবে।