ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ এখনই উপকূলে আছড়ে পড়ছে না, তবে এর প্রভাব ইতিমধ্যেই ছড়াতে শুরু করেছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। বঙ্গোপসাগরের ওপর তৈরি হওয়া এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের বহু জেলায় শুরু হয়েছে টানা বৃষ্টি ও বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝোড়ো হাওয়া। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসনের তরফে শুরু হয়েছে নানা সতর্কতা মূলক পদক্ষেপ।
বিশেষ করে উপকূলবর্তী দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রথম থেকেই সক্রিয় ভূমিকায় নেমেছে। সাগর ব্লকে পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে বারণ করা হচ্ছে, চালানো হচ্ছে মাইকিং ও সচেতনতা অভিযান। পুণ্যার্থীদের সুরক্ষার দিকেও বাড়তি নজর দিচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন।
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, গঙ্গাসাগরের মতো নিম্নাঞ্চলে একাধিক দুর্বল নদী বাঁধ চিহ্নিত করা হয়েছে। পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে সেখানকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। স্কুল ও ত্রাণশিবিরগুলি আগেভাগেই প্রস্তুত রাখা হয়েছে, যেখানে খাবার ও জরুরি সামগ্রী মজুত রাখা হয়েছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের জেরে কয়েকটি জেলায় ইতিমধ্যেই বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ঘূর্ণিঝড় সম্ভবত গুজরাটের কচ্ছ অঞ্চল অথবা পাকিস্তানের করাচি উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। তবে তার পারিপার্শ্বিক প্রভাব পশ্চিমবঙ্গের উপর পড়বে বলেই আশঙ্কা।
এই অবস্থায় যাত্রীদের উদ্দেশ্যে উপকূল এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পরিবহণ দপ্তরের তরফ থেকেও বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে রাস্তাঘাট ও জলপথ চলাচলের ওপর। জরুরি পরিষেবা কর্মীদের ছুটি বাতিল করে প্রস্তুত রাখা হয়েছে যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায়।
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর:
১. ঘূর্ণিঝড় শক্তি কি পশ্চিমবঙ্গে আছড়ে পড়বে?
না, বর্তমান পূর্বাভাস অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় শক্তি সরাসরি পশ্চিমবঙ্গে আছড়ে পড়বে না, তবে তার প্রভাবে রাজ্যে বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া হতে পারে।
২. কোন জেলাগুলিতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়তে পারে?
বিশেষত উপকূলবর্তী জেলাগুলি, যেমন দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরে বেশি প্রভাব পড়তে পারে।
৩. প্রশাসনের কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?
ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে, দুর্বল বাঁধ চিহ্নিত করে বাসিন্দাদের সরানো হয়েছে, সমুদ্রতটে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।
৪. কতদিন পর্যন্ত এই প্রভাব থাকতে পারে?
পরবর্তী কয়েকদিন ধরে আবহাওয়া খারাপ থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতর থেকে।
৫. পর্যটকদের জন্য কোনও বিশেষ নির্দেশিকা আছে কি?
হ্যাঁ, পর্যটকদের সমুদ্রতট এবং উপকূল অঞ্চল এড়িয়ে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।