DA: রাজ্যের সিদ্ধান্তে ডিএ বাড়লেও না-খুশ কর্মীরা, সুপ্রিম কোর্টের মামলায় চাপে পড়বে সরকার!
চলতি বছরের মতো ২০২৪ সালও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য শুরু হবে নানা সুখবর দিয়ে। আগামী বছরের শুরুতেই তাদের মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় এবার তাদের ডিএ ৫০ শতাংশ অতিক্রম করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বর্তমানে ৪৬ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হচ্ছে তাদের। সেটি থেকেই বৃদ্ধি পাবে আগামী বছরে। তবে মহার্ঘভাতা বৃদ্ধির সঙ্গে কর্মচারীদের অন্যান্য ভাতাও ৩ শতাংশ বাড়বে বলে খবর মিলেছে। এই কারণেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে আসন্ন অর্থবর্ষে।
একদিকে যখন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে, তখনই অন্যদিকে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে DA বা মহার্ঘভাতা নিয়ে অসন্তোষ বেড়েই চলেছে। বিগত কয়েকবছর ধরেই বাংলায় রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে DA আন্দোলন দেখা যাচ্ছে। বকেয়া DA-র দাবিতে সরকারি কর্মীদের আন্দোলন হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। এমনকি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রদত্ত মহার্ঘভাতার হারে রাজ্য সরকারি কর্মীদের DA বৃদ্ধির দাবিতে দীর্ঘদিন লড়ছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের তিনটি সংগঠন। তারাই অনেক আন্দোলন, ঘেরাও ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন বিগত সময়ে।
এই সংক্রান্ত একাধিক মামলাও হয়েছে সরকারের বিরুদ্ধে। এর আগে SAT এবং কলকাতা হাইকোর্টের রায় গিয়েছিল কর্মচারীদের দিকে। এবার এই মামলার ঠাঁই হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এখন সুপ্রিম কোর্টের রায়ের দিকেই তাকিয়ে সরকারি কর্মচারীরা। এই বিষয়ে মামলাকারী সংগঠন তরফে সরকারি কর্মচারি পরিষদের সভাপতি দেবাশিস শীল বলেন, “আগামী ৫ তারিখের পর সুপ্রিম কোর্টে মামলাটির শুনানির হতে পারে। রাজ্যের সকল সরকারি কর্মচারীরা সর্বোচ্চ আদালত কি রায় দেয় দিকে চেয়ে রয়েছেন। সর্বোচ্চ আদালত যদি রাজ্য সরকারের SLP খারিজ করে দেয় সেক্ষেত্রে মামলাটি হাইকোর্টে চলে আসবে।” আগামী ফেব্রুয়ারিতে এই মামলার রায়দান করতে পারে মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট।
এদিকে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের অসন্তোষ কমাতে গতবছর একটি বড় ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছিলেন যে, ২০২৪ সালেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ বাড়ানো হবে। তবে কত শতাংশ হারে এই বৃদ্ধি হবে এবং কোন মাসে এই বৃদ্ধির ঘোষণা হবে, তা স্পষ্ট করে বলেন নি মুখ্যমন্ত্রী। আর এখানেই ধোঁয়াশা দেখছেন আন্দোলনরত সরকারি কর্মীরা।