Home Shorts Videos Gallary Join
প্রথম পাতা খবর বিনোদন OTT ওয়েব সিরিজ লাইফস্টাইল তথ্য প্রযুক্তি

সরাসরি অ্যাকাউন্টে ১১,০০০ টাকা, মেয়েদের জন্য চালু হয়েছে দুর্দান্ত সরকারি প্রকল্প

দিল্লির দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেওয়া মেয়েরা পাচ্ছেন রাজ্য সরকারের বিশেষ উপহারে আর্থিক নিরাপত্তা। ‘লাডলি যোজনা’ নামের এই প্রকল্পের অধীনে মেয়েদের জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হচ্ছে ভবিষ্যতের সঞ্চয়। শিশুকন্যার জন্ম হাসপাতালেই হলে মিলবে ১১,০০০ এবং বাড়িতে হলে ₹১০,০০০—এই অর্থ জমা থাকবে নির্ধারিত ব্যাঙ্কে ফিক্সড ডিপোজিট হিসেবে, যা মিলবে ১৮ বছর বয়সে, যদি সে অন্তত দশম শ্রেণি পাশ করে।

কী এই লাডলি যোজনা?

২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি চালু হয় ‘লাডলি যোজনা’। মূল লক্ষ্য ছিল গরিব পরিবারের মেয়েদের শিক্ষার সুযোগ বাড়ানো এবং বিদ্যালয়ছুটের সংখ্যা কমানো। দিল্লিতে বসবাসকারী পরিবারগুলির মধ্যে যাদের বার্ষিক আয় ১ লক্ষ বা তার কম, এবং যারা অন্তত তিন বছর ধরে দিল্লিতে বাস করছেন, তারা এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারেন। তবে এক পরিবারে সর্বোচ্চ দুই কন্যাসন্তান এই প্রকল্পের আওতায় পড়বেন।

শিক্ষার প্রতিটি ধাপে আর্থিক সহায়তা

জন্মের পর এককালীন অনুদানের পাশাপাশি শিক্ষার প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ স্তরে অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়। প্রথম শ্রেণি, ষষ্ঠ, নবম, দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে প্রবেশ বা উত্তীর্ণ হলেই মিলবে ৫,০০০ করে। অর্থাৎ উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষাজীবনে বারবার মিলবে রাজ্যের সহায়তা। এই অর্থ জমা থাকে সরকারি অনুমোদিত ব্যাঙ্কে—SBI অথবা SBI লাইফে। মেয়েটি যখন ১৮ বছর পূর্ণ করবে এবং দশম শ্রেণি পাশ করবে, তখন সে তার নামেই ফিক্সড ডিপোজিটের টাকা তুলতে পারবে।

এখনও অব্যবহৃত ৪৫০ কোটি টাকা!

সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৭ লক্ষেরও বেশি মেয়ে এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছে এবং সরকারের মোট ব্যয় ছাড়িয়ে গিয়েছে ১,৪১৭ কোটি। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে এখনো প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা তোলা হয়নি। এর মধ্যে প্রায় ১.৮৬ লক্ষ মেয়ে এখনো তাদের ‘maturity amount’ পাননি এবং আরও ১.৬৬ লক্ষেরও বেশি ছাত্রীর নাম এখনও পুনর্নিবন্ধন হয়নি। এই সমস্যা দূর করতে দিল্লি সরকার একটি বিশেষ পোর্টাল চালু করতে চলেছে। স্কুলভিত্তিক সচেতনতা কর্মসূচির মাধ্যমে উপকারভোগীদের চিহ্নিত করে তাঁদের হাতে সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে।

 গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর (FAQ)

১. কে লাডলি যোজনার জন্য যোগ্য?
→ দিল্লির বাসিন্দা হতে হবে অন্তত ৩ বছর, বার্ষিক আয় ১ লক্ষ বা তার কম, এবং সর্বাধিক দুই কন্যাসন্তান পর্যন্ত।

২. এই প্রকল্পের টাকা কখন এবং কীভাবে পাওয়া যায়?
→ টাকা ফিক্সড ডিপোজিট হিসেবে থাকে এবং মেয়েটি ১৮ বছর পূর্ণ করে দশম শ্রেণি পাশ করলেই তা তোলা যায়।

৩. প্রতিটি শ্রেণিতে কত টাকা দেওয়া হয়?
→ প্রথম, ষষ্ঠ, নবম, দশম ও দ্বাদশ শ্রেণিতে ৫,০০০ করে প্রদান করা হয়।

৪. কন্যাসন্তান যদি স্কুল ছেড়ে দেয়, তাহলে কি টাকা পাবে?
→ না, অর্থ পাওয়ার জন্য দশম শ্রেণি পাশ করতেই হবে।

৫. প্রকল্পে রেজিস্ট্রেশন না থাকলে কী করণীয়?
→ সরকারি পোর্টাল ও স্কুলের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন বা পুনর্নিবন্ধন করা যাবে।