নবদ্বীপে আজও পূজিতা হন ‘পোড়ামা ভবানী’, কিভাবে হল এই দেবীর প্রতিষ্ঠা!
এক সময় বাংলার অক্সফোর্ড নামে খ্যাত ছিল নবদ্বীপ। মহাপ্রভু শ্রী চৈতন্য দেবের আবির্ভাব ভূমি এই নবদ্বীপ ধাম পরিচিতি লাভ করে আসছে বহু শতাব্দী আগে থেকেই। শুধুমাত্র হিন্দু ধর্মই নয় মুসলমান রাজত্বের সূত্রপাত ঘটেছিল এই নবদ্বীপ ধামেই। মহম্মদ-ই-বখতিয়ার এসে লক্ষণ সেন দেবকে পরাজিত করে মুসলমানরা রাজত্ব শুরু করেন।
শ্রীচৈতন্যের জন্মস্থান বৈষ্ণব ধর্মের প্রবক্তা হিসাবে তার নাম ছড়িয়ে পড়ার পর নবদ্বীপ প্রধানত বৈষ্ণব তীর্থভূমিতে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এই শহরেই মা ভবতারিণী পূজিতা হন। পঞ্চদশ শতাব্দীতে বৃহদ্রথ নামে এক তন্ত্রসাধক এখানে বাস করতেন।
তিনি একসময় বনের মধ্যে দেবী কালীকে স্থাপন করেন। এই সময় এই জায়গার বিখ্যাত পন্ডিত ছিলেন বাসুদেব, বাসুদেবের পিতামহ ছিলেন বৃহদ্রথ এর মন্ত্র শিষ্য। তিনি দক্ষিণাকালীর ঘটটি এক বৃক্ষের নীচে প্রতিস্থাপন করেন। আস্তে আস্তে সেখানেই ভক্ত সমাগম হয়। কিন্তু এক দিন এক প্রচণ্ড অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেল সেই গাছটি। শোনা যায়, বাজ পড়ে নাকি আগুন লেগে গিয়েছিল ওই বৃক্ষে। সেই থেকেই সেখানকার ভবতারিণী ‘পোড়ামা ভবানী’ নামে পরিচিত।