ভারতের রেল ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় লিখতে চলেছে জাপানের E10 সিরিজ শিঙ্কানসেন বুলেট ট্রেন। মুম্বাই থেকে আহমেদাবাদ পর্যন্ত নির্মাণাধীন হাইস্পিড রেলপথে ২০৩০ সালের মধ্যে চালু হতে চলেছে এই পরবর্তী প্রজন্মের ট্রেন। জাপানের সঙ্গে একসঙ্গে ভারতে এই ট্রেন চালু হওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নির্মীয়মাণ করিডরের দৈর্ঘ্য প্রায় ৫০৮ কিমি। সম্পূর্ণ প্রকল্পটি জাপানি শিঙ্কানসেন প্রযুক্তিতে তৈরি হচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি এই ট্রেন ৩২০ কিমি/ঘণ্টা গতিতে চলতে সক্ষম, এবং পরীক্ষামূলকভাবে এটি ৪০০ কিমি/ঘণ্টা পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। শুধু গতিই নয়, ভূমিকম্প প্রতিরোধক ড্যাম্পার ও ইনডাকশন মোটরের মতো আধুনিক নিরাপত্তা প্রযুক্তিও এতে থাকছে।
এই করিডরে ইতিমধ্যেই ৩১০ কিমি দীর্ঘ viaduct-এর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। নির্মাণ শেষ হয়েছে ১৫টি নদীর সেতুর এবং আরও ৪টি সেতুর কাজ দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে। পাশাপাশি, এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে ২১ কিমি দীর্ঘ সাগরতলের টানেলের কাজেও বড়সড় অগ্রগতি হয়েছে, যা বান্দ্রা-কুরলা কমপ্লেক্স (BKC) ও থানে-কে সংযুক্ত করবে। প্রকল্পটির প্রাথমিক ট্রায়াল ২০২৬–২৭ অর্থবছরে E5 সিরিজের শিঙ্কানসেন ট্রেনে শুরু হবে। সেই ট্রায়াল সফল হলে ২০৩০ নাগাদ E10 সিরিজ স্থায়ীভাবে যাত্রী পরিবহণে ব্যবহৃত হবে। ট্রেনের মধ্যে থাকবে অত্যাধুনিক কনফিগারেশন, উন্নত গঠন এবং যাত্রীসুবিধা—যা ভারতীয় রেল ব্যবস্থার নতুন দিশা দেখাবে।
প্রশ্নোত্তর: পাঠকের জিজ্ঞাসা
১. E10 Shinkansen কী এবং কবে চালু হবে?
জাপানের E10 নতুন প্রজন্মের বুলেট ট্রেন, যা ২০৩০ নাগাদ ভারতে চালু হবে মুম্বাই–আহমেদাবাদ করিডরে।
২. ট্রায়ালের জন্য কোন ট্রেন ব্যবহার করা হবে?
প্রাথমিক ট্রায়াল হবে ২০২৬–২৭ অর্থবছরে E5 সিরিজ শিঙ্কানসেন ট্রেনে।
৩. করিডরের মোট দৈর্ঘ্য কত?
এই হাইস্পিড রেলপথের দৈর্ঘ্য প্রায় ৫০৮ কিমি।
৪. E10 ট্রেন কত গতি তুলতে পারবে?
E10 ট্রেন ৩২০ কিমি/ঘণ্টা গতিতে চলবে, তবে এটি সর্বোচ্চ ৪০০ কিমি/ঘণ্টাও তুলতে সক্ষম।
৫. নির্মাণে কী কী কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে?
৩১০ কিমি viaduct, ১৫টি নদীর সেতু, ৪টি সেতু নির্মাণের পথে, ও ২১ কিমি সাগরতলের টানেলের গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে।