মাত্র মাসে ৫,০০০ সঞ্চয় করেই অবসরের সময় কোটি টাকার নিরাপত্তা! শোনার মতো অবিশ্বাস্য হলেও, Employee Provident Fund (EPF)–এর সঠিক ব্যবহার করলে এই স্বপ্ন পূরণ সম্ভব। ভারতের অসংখ্য কর্মজীবী মানুষের জন্য EPF দীর্ঘদিন ধরেই একটি নির্ভরযোগ্য রিটায়ারমেন্ট প্ল্যান হিসেবে গড়ে উঠেছে। এটি একটি সরকার অনুমোদিত সেভিংস স্কিম, যেখানে কর্মী এবং নিয়োগকারী উভয়ের অবদান থাকে। কর্মীর বেসিক বেতনের ১২% জমা হয় এই অ্যাকাউন্টে। অন্যদিকে নিয়োগকারীও অবদান রাখেন—৩.৬৭% যায় EPF–এ এবং ৮.৩৩% Employee Pension Scheme (EPS)-এ। এই নিয়মিত বিনিয়োগ এবং সরকারি গ্যারান্টি মিলে একে করেছে অত্যন্ত নিরাপদ একটি পরিকল্পনা।
আর্থিক বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি একজন কর্মী মাসে মাত্র ৫,০০০ EPF–এ জমা করেন এবং প্রতি বছর নির্দিষ্ট হারে বেতন বৃদ্ধি পান, তাহলে সরকারি নির্ধারিত ৮.২৫% বার্ষিক সুদের হারে অবসরের সময়ে প্রায় ৩.৫ কোটি পর্যন্ত সঞ্চয় গড়ে উঠতে পারে। শুধু তাই নয়, এর সঙ্গে EPS থেকে অবসরের পর পেনশনের সুবিধাও পাওয়া যায়। বর্তমানে এই কাঠামো অনুযায়ী ন্যূনতম মাসিক পেনশন ১,০০০ হতে পারে। তবে চূড়ান্ত অঙ্ক নির্ভর করে চাকুরির মেয়াদ এবং শেষ বেতনের ওপর। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, EPF সম্পূর্ণভাবে বাজার ওঠানামা থেকে সুরক্ষিত। অর্থাৎ শেয়ারবাজার বা অন্যান্য বিনিয়োগের মতো এখানে ক্ষতির ভয় নেই। এর ফলে ঝুঁকি নিতে অনিচ্ছুক কর্মীদের কাছে এটি অন্যতম সেরা দীর্ঘমেয়াদি সেভিংস বিকল্প হয়ে উঠেছে।
সাধারণ প্রশ্নোত্তর (FAQ)
১. মাসে ৫,০০০ জমা করলে অবশেষে কত সঞ্চয় হতে পারে?
→ নিয়মিত বেতন বৃদ্ধি ও ৮.২৫% সুদের হারে অবসরে প্রায় ৩.৫ কোটি সঞ্চয় সম্ভব।
২. EPF–এ ঠিক কোথায় জমা হয় টাকা?
→ কর্মীর অবদান ১২% সরাসরি EPF–এ যায়। নিয়োগকারীর অবদান থেকে ৩.৬৭% যায় EPF–এ এবং ৮.৩৩% EPS–এ।
৩. EPS থেকে কী ধরনের সুবিধা পাওয়া যায়?
→ অবসর পরবর্তী সময়ে পেনশন পাওয়া যায়, ন্যূনতম মাসিক ১,০০০ থেকে শুরু হতে পারে।
৪. EPF কি একেবারে নিরাপদ বিনিয়োগ?
→ হ্যাঁ, এটি সরকার অনুমোদিত এবং মার্কেটের ওঠানামায় প্রভাবিত হয় না।
৫. EPF ও অন্য রিটায়ারমেন্ট স্কিমের মধ্যে পার্থক্য কী?
→ EPF বাধ্যতামূলক হওয়ায় নিয়মিত সঞ্চয় হয় এবং EPS–এর মাধ্যমে পেনশনের নিশ্চয়তা থাকে।