দক্ষিণবঙ্গের আকাশে জমছে কালো মেঘ, আর তার সঙ্গে আসছে প্রবল বর্ষণের পূর্বাভাস। রবিবার থেকেই রাজ্যের একাধিক জেলায় ফের শুরু হতে চলেছে ভারী বৃষ্টিপাত, যার জেরে তীব্র বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা। রাজ্য আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই মুহূর্তে নদীগুলির জলস্তর আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। বিশেষ করে কংসাবতী, দ্বারকেশ্বর, গন্ধেশ্বরী, শিলাবতী ও সুবর্ণরেখা নদীর জল ক্রমেই ফুলে-ফেঁপে উঠছে।
বিপর্যস্ত কৃষি ও সড়কপথ
ব্যাঙ্কুরা ও পুরুলিয়ায় ইতিমধ্যেই ১০০ মিমি-র বেশি বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। নদীর বাঁধ ভেঙে চন্দ্রকোনা, গড়বেতা ও ঘাটাল সংলগ্ন বিস্তীর্ণ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। জমে থাকা জল ডুবে দিয়েছে বহু ঘরবাড়ি ও চাষের জমি। আমন ধান খেতের নিচে তলিয়ে গেছে, পাশাপাশি সবজি ও ফুলচাষেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পরিকাঠামোতেও দেখা দিয়েছে বিশাল ভাঙন। দ্বারকেশ্বর নদীর উপর মীনাপুর সেতু জলের তলায় চলে গিয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থায় চরম ব্যাঘাত ঘটছে।
কবে পর্যন্ত চলবে বৃষ্টি?
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রাজ্যের দক্ষিণাংশে এই বৃষ্টি চলবে। তবে আগামী সপ্তাহের শুরুতে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আবারও প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
FAQ (প্রশ্নোত্তর)
বৃষ্টির কারণে কোন জেলাগুলিতে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি হয়েছে?
🔹 পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ব্যাঙ্কুরা, পুরুলিয়া, হাওড়া ও হুগলিতে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি হয়েছে।
এই মুহূর্তে নদীগুলির কোন অবস্থায় রয়েছে?
🔹 কংসাবতী, শিলাবতী, গন্ধেশ্বরী, দ্বারকেশ্বর ও সুবর্ণরেখা নদীর জলস্তর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বাড়ছে।
বৃষ্টির জেরে কোন কোন কৃষিপণ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে?
🔹 আমন ধান খেত, শাকসবজি ও ফুলচাষ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পরিকাঠামোগত কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে?
🔹 মীনাপুর সেতু সহ একাধিক সড়ক ও সেতু জলের তলায় চলে গেছে, ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।
কবে পর্যন্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে?
🔹 বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত চলবে, তবে পরের সপ্তাহে ফের নতুন করে বৃষ্টি শুরু হতে পারে।