উত্তরবঙ্গ যেন আজ এক বর্ষণমুখর ক্যানভাস, আর দক্ষিণবঙ্গ রোদঝলমলে দৃশ্যপট। ১ জুন, ২০২৫ তারিখে রাজ্যের আবহাওয়া যেন দুই ভাগে বিভক্ত — একদিকে জলভেজা প্রাকৃতিক উন্মাদনা, অন্যদিকে একরাশ নিরুত্তাপ সূর্যছায়া।
ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর (IMD)-এর পূর্বাভাস অনুযায়ী, উত্তরবঙ্গের পাঁচটি জেলা — দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে আজ ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও প্রকাশ করা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদদের মতে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া একটি নিম্নচাপ বর্তমানে বাংলাদেশ অভিমুখে সরিয়ে গিয়েছে। এর ফলে দক্ষিণবঙ্গের আকাশ অনেকটাই পরিষ্কার রয়েছে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান এবং মুর্শিদাবাদে তেমন বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই বলেই জানানো হয়েছে।
উত্তরবঙ্গে যাত্রা বা পরিবহণে বিঘ্ন ঘটতে পারে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। পাহাড়ি এলাকার বাসিন্দাদের সাবধান থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সম্ভাব্য ভূমিধসের সতর্কতাও জারি করা হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে।
অন্যদিকে, দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু এলাকায় তাপমাত্রা খানিকটা বাড়তে পারে। তবে, আগামী ২ জুনের জন্য আবহাওয়া দফতর কোনো নির্দিষ্ট বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেনি। অর্থাৎ, আগামী দিনে আবহাওয়ার স্থিতিশীলতা প্রত্যাশিত।
উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের এই ভিন্ন আবহাওয়াজনিত চিত্র জনজীবনে ভিন্ন প্রভাব ফেলতে পারে। কৃষক থেকে পর্যটক — সকলের জন্যই আবহাওয়ার এই হেরফের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে।
প্রশ্নোত্তর (FAQ):
১. ১ জুন কোন কোন জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে?
উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
২. দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা আছে কি?
বর্তমানে দক্ষিণবঙ্গে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। আকাশ মূলত পরিষ্কার থাকবে।
৩. এই বৃষ্টিপাতের কারণ কী?
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট একটি নিম্নচাপ সিস্টেম বাংলাদেশে চলে যাওয়ায় এই আবহাওয়া পরিবর্তন ঘটেছে।
৪. আগামী দিনে আবহাওয়ার পরিবর্তনের কোনো সম্ভাবনা আছে কি?
২ জুনের জন্য আবহাওয়া দফতর কোনো সতর্কতা জারি না করায়, পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকার সম্ভাবনা প্রবল।
৫. উত্তরবঙ্গের মানুষজনকে কী ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে?
স্থানীয় প্রশাসন পাহাড়ি এলাকায় বসবাসকারীদের সাবধান থাকতে এবং অপ্রয়োজনীয় বাইরে না বেরোনোর পরামর্শ দিয়েছে।