বর্ষাকাল মানেই প্রচুর পরিমাণে চুল পড়ে। তবে বর্ষাকালেই নয়, এখন যে কোন ঋতুতে চুল পড়ার প্রবণতা অনেকখানি বেড়ে গেছে। এজন্য বাড়িতে বানিয়ে ফেলতে পারেন, অসাধারণ নিম তেল। আমরা অনেক সময় চুল ভালো করার জন্য বাজার চলতি অনেক তেল কিনে থাকি, কিন্তু আপনি কি জানেন? এই বাজার চলতি তেলে আপনার জন্য একেবারেই উপকারী নয়, আপনি যদি আপনার চুলকে অনেক বেশি স্ট্রং হেলদি এবং কালো কুচকুচে, আর খুশকি মুক্ত, ব্যাকটেরিয়া মুক্ত বানাতে চান তাহলে অবশ্যই বানিয়ে ফেলুন অসাধারণ নিম তেল।
অনেক প্রাচীনকাল থেকেই নিমপাতা ব্যবহৃত হয়ে আসছে আমাদের শরীরকে সুস্থ করার জন্য। আমাদের শরীরের ভেতরে যদি কোন ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধে, অনেকেই বলেন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে কাঁচা নিমপাতা চিবিয়ে খেতে বা শরীরের উপরে যদি কোন রকম ভাবে কোন ফোস্কা হয়, তাহলেও অনেকে বলেন নিমপাতা ফুটানো জলে স্নান করতে। ঠিক তেমনি আপনি যদি এই নিমপাতার পেস্ট দিয়ে তেল বানিয়ে চুলে ভালো করে ম্যাসাজ করে মাখতে পারেন, তাহলে দেখবেন আপনার চুল কত সুন্দর হবে।
তবে আর দেরি কেন দেখে নিন, বাড়িতেই কিভাবে আপনি বানিয়ে ফেলবেন নিমপাতা দিয়ে তৈরি অসাধারণ হেয়ার অয়েল। তবে এখানে শুধুমাত্র নিমপাতা ব্যবহার করা হচ্ছে না। প্রয়োজনীয় সমস্ত রকম দামি উপকরণ ব্যবহার করা হচ্ছে। দামি কথাটার অর্থ এখানে মোটেই পয়সা দিয়ে খুজতে যাবেন না, দামি হলো যে আপনার শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী এর মধ্যে আছে করিপাতা, ভিটামিন ই অয়েল ।
উপকরণ–
এক বাটি নারকেল তেল
সমপরিমাণ সর্ষের তেল
৪ টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল
৪ টেবিল চামচ ভিটামিন ই অয়েল
এক মুঠো নিম পাতা
এক মুঠো কারি পাতা
তৈরি করার পদ্ধতি – প্রথমে নারকেল তেল এবং সরষের তেলকে খুব ভালো করে গরম করে নিতে হবে। তেল ঢিমে আঁচে গরম করে নিতে হবে, এরপর এর মধ্যে নিমপাতা এবং কারিপাতা খুব ভালো করে ধুয়ে, শুকিয়ে নিয়ে তেলের মধ্যে দিয়ে দিন। তেল এর রঙ যতক্ষণ না পরিবর্তিত হয়ে বেশ গাঢ় কালো রং এর হয়ে যাচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত তেল গরমের মধ্যে ফোটাতে হবে। এরপর একটি কাঁচের শিশিতে খুব ভালো করে ছেঁকে নিতে হবে। এরপর এই তেলের মধ্যে ক্যাস্টর অয়েল এবং ভিটামিন ই অয়েল খুব ভালো করে মিশিয়ে একটি চামচের সাহায্যে গুলিয়ে রেখে দিন।
ব্যবহারবিধি – সপ্তাহে অন্তত তিন দিন চুলের গোড়ায় গোড়ায় আঙুলের সাহায্যে এই তেল ভালো করে দিয়ে ম্যাসাজ করে নিন।
উপকারিতা – এই তেল লাগালে চুলের খুশকি দূর হবে, এই তেল লাগালে চুল সুন্দর হবে, এই তেল ব্যবহার করলে নতুন করে চুল গজাবে, এই তেল ব্যবহার করলে চুল কালো কুচকুচে হবে।
সতর্কীকরণ– উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনো রকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।
