Finance News

Income Tax: মিলবে না রেহাই, ৩১ শে ডিসেম্বরের আগে এই কাজ না করলে গুনতে হবে জরিমানা

ভারতের প্রতিটি নাগরিক, যারা নিয়মিত সরকারি বা বেসিরকারী কোনো সংস্থা থেকে উপার্জন করেন, তখন তাদের আয়কর রিটার্ন ফাইল করা বাধ্যতামূলক। আয়কর রিটার্ন হল একটি নির্ধারিত ফর্ম যার মাধ্যমে একটি আর্থিক বছরে এক জন ব্যক্তি তাঁর অর্জিত আয়ের বিবরণ জমা দিতে পারেন। আয়কর আইনের অধীনে, বিভিন্ন শ্রেণির করদাতাদের জন্য রিটার্নের বিভিন্ন ফর্ম নির্ধারিত হয়। রিটার্ন ফর্মগুলি আইটিআর ফর্ম নামে পরিচিত। এখন বিলম্বিত আয়কর রিটার্ন ফাইলের সময়সীমা রয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর অবধি করা যাবে এই কাজটি। তবে তার জন্য গুনতে হবে নির্দিষ্ট জরিমানা।

তবে আয়কর রিটার্ন ফাইলের আগে তার নিয়মগুলি সঠিকভাবে জেনে রাখা দরকার। অর্থাৎ, কোন কোন ক্ষেত্রে আয়কর জমা করা আবশ্যক এবং কোন কোন বিষয়ে আয়কর ছাড় পাওয়া যায়, তাও জানা দরকার প্রতিটি করদাতার। যদিও ভারতের আয়কর আইনের অধীনে এমন হাজারো নিবন্ধ রয়েছে, যা আয়করের নিয়ম নির্দেশ করে। চলতি বছরের ৩১ শে জুলাই ছিল আয়কর রিটার্ন ফাইল করার শেষ তারিখ। তবে যারা এখনো এই কাজটি করেননি তাদের ক্ষেত্রে কাজটি করার সুযোগ রয়েছে আগামী ৩১ শে ডিসেম্বর অবধি।

নির্ধারিত জরিমানা দিয়ে বিলম্বিত আয়কর জমার এই শেষ তারিখের আগে সেটি করে ফেলতে হবে। ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষ অবধি এই জরিমানা নেওয়া হত না। তবে ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষ থেকে এই জরিমানা চালু করেছে কেন্দ্র। আয়কর আইনের 234-F ধারায় এই বিষয়টি উল্লিখিত রয়েছে। এই উপধারা অনুযায়ী, এমন করদাতা, যার বার্ষিক আয় ৫ লক্ষ টাকার বেশি, তিনি যদি এই শেষ তারিখের পরে আয়কর রিটার্ন ফাইল করেন তবে তাকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হতে পারে। তবে যাদের বার্ষিক আয় ৫ লক্ষ টাকার কম, তাদের থেকে জরিমানা ১ হাজার টাকা নেওয়া হবে।

তবে যদি কোনো করদাতা বিলম্বিত আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন তাহলে তাকে উপধারা 234-A অনুযায়ী এর মোট করের পরিমাণের উপর ১ শতাংশ সুদ দিতে হবে। এছাড়াও তাকে বিলম্বের কারণ সঠিকভাবে জানাতে হবে আয়কর দফতরকে। আয়কর আইনের ১১৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী তার উপর ১০ হাজার টাকার জরিমানা আরোপ করতে পারে আয়কর দফতর। তবে যারা এই ৩১ শে ডিসেম্বর তারিখটি মিস করবেন, তারা ভবিষ্যতে আরো অনেক বড় সমস্যায় পড়তে পারেন।

Related Articles