মুম্বই শহরের জনজীবনের অন্যতম ভরসা সাবারবান ট্রেন। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ এই পরিষেবার উপর নির্ভর করেন অফিসযাত্রা বা দৈনন্দিন জীবনের জন্য। এবার সেই ট্রেনযাত্রা থেকেই রোজগারের সুযোগ দিচ্ছে ভারতীয় রেল! ‘লাকি যাত্রা’ নামের এক নতুন পরিকল্পনায় যাত্রীদের দেওয়া হবে নগদ পুরস্কার।ভারতীয় রেলের সেন্ট্রাল ও ওয়েস্টার্ন ডিভিশনের তরফে এই বিশেষ স্কিম চালু করা হয়েছে। উদ্দেশ্য একটাই— টিকিট ছাড়া যাতায়াত কমানো। কারণ পরিসংখ্যান বলছে, প্রতিদিন প্রায় ২০ শতাংশ যাত্রী বিনা টিকিটে যাতায়াত করেন, যা রেলের বিপুল ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
এই প্রকল্প অনুযায়ী, কোনও যাত্রী যদি বৈধ টিকিট কেটে ট্রেনযাত্রা করেন, তবে তিনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে লটারির জন্য বিবেচিত হবেন। এতে প্রতিদিন এক জন যাত্রী জিতে নিতে পারবেন ১০,০০০ টাকা, আর প্রতি সপ্তাহে মিলবে ৫০,০০০ টাকার পুরস্কার। এই লাকি ড্র-র জন্য কোনও অতিরিক্ত খরচ লাগবে না যাত্রীদের। সম্পূর্ণ ব্যয়ভার বহন করছে একটি বেসরকারি সংস্থা, FCB Interface Communication Pvt Ltd।আট সপ্তাহব্যাপী চলবে এই অভিযান। বিভিন্ন ধরনের টিকিট যেমন—ডেইলি পাস, সিজন টিকিট, মোবাইল টিকিট বা ভেন্ডিং মেশিন থেকে কাটার টিকিট—সব কিছুকেই এই স্কিমের আওতায় রাখা হয়েছে।
মুম্বইয়ের সাবারবান রেল নেটওয়ার্কে প্রতিদিন প্রায় ২৪–৪০ মিলিয়ন যাত্রী যাতায়াত করেন। কিন্তু রোজ ৪০০০ থেকে ৫০০০ জন যাত্রীকে ধরা হয় টিকিট ছাড়া যাতায়াতের জন্য। এই বিপুল চিত্রের সামনে রেল এবার কড়া শাস্তির বদলে উৎসাহমূলক পদ্ধতি বেছে নিয়েছে।এই পরিকল্পনার মাধ্যমে রেল চায় একদিকে যেমন টিকিট কাটাকে উৎসাহ দেওয়া, তেমনই যাত্রীদের মধ্যেও রেল পরিষেবার প্রতি ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করতে।
FAQ: গুরুত্বপূর্ণ ৫টি প্রশ্ন
১. লাকি যাত্রা স্কিমে অংশগ্রহণ করতে আলাদা করে কিছু করতে হবে কি?
না, শুধুমাত্র বৈধ টিকিট কাটা হলেই আপনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিবেচিত হবেন।
২. কাদের জন্য প্রযোজ্য এই স্কিমটি?
সেন্ট্রাল ও ওয়েস্টার্ন রেল ডিভিশনের যাঁরা বৈধভাবে টিকিট কেটে যাতায়াত করছেন, তাঁরাই এতে অংশ নিতে পারবেন।
৩. দিনে ও সপ্তাহে কত টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে?
প্রতিদিন এক জনকে ১০,০০০ ও প্রতি সপ্তাহে এক জনকে ৫০,০০০ পুরস্কার দেওয়া হবে।
৪. মোবাইল বা ভেন্ডিং মেশিন থেকে কাটার টিকিটেও কি অংশ নেওয়া যাবে?
হ্যাঁ, যে কোনও মাধ্যমে কাটা বৈধ টিকিটই স্কিমের আওতায় পড়বে।
৫. এই স্কিম কতদিন চলবে?
মোট ৮ সপ্তাহ ধরে চলবে লাকি যাত্রা স্কিম।