প্রথম মিনিটেই বুক হয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার তৎকাল টিকিট, অথচ সত্যিকারের যাত্রীরা বঞ্চিত! এই ভয়ংকর পরিস্থিতি রুখতেই এবার কড়া পদক্ষেপ ভারতীয় রেলের।তৎকাল টিকিট বুকিং ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ ও নির্ভরযোগ্য করতে নতুন নির্দেশিকা জারি করল ভারতীয় রেলওয়ে। প্রতিদিন প্রায় ২.২৫ লক্ষ যাত্রী তৎকাল টিকিটের জন্য অনলাইনে আবেদন করেন। কিন্তু একদিন মাত্র ১ মিনিটের মধ্যে ৬৭,০০০-এরও বেশি টিকিট বুক হলেও, নিশ্চিত সংরক্ষণের সংখ্যা মাত্র ৫,৬১৫। অথচ ওই সময়ে উপলব্ধ ছিল এক লক্ষেরও বেশি টিকিট। এই বিস্ময়কর বৈষম্য থেকেই স্পষ্ট, বুকিং ব্যবস্থায় অনুপ্রবেশ করছে অসত্যিকারের অ্যাকাউন্ট।
ভারতীয় রেলওয়ে কনফার্ম করেছে যে, আইআরসিটিসি-র ১৩ কোটি অ্যাকটিভ ইউজারের মধ্যে মাত্র ১.২ কোটি অ্যাকাউন্ট আধার দিয়ে ভেরিফাই করা হয়েছে। এই বিপুল ব্যবধানের মধ্যে প্রায় ২০ লক্ষ অ্যাকাউন্ট সন্দেহভাজন বা ভুয়ো বলে ধারণা করা হচ্ছে। রেলমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, যাঁরা প্রকৃত যাত্রী, তাঁরাই যেন তৎকাল টিকিট বুক করতে পারেন—এটাই তাঁদের মূল লক্ষ্য। এর জন্য জাল অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় করার কাজও ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।
রেলের মতে, আধার-ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে বুকিং ব্যবস্থা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে এবং সাধারণ যাত্রীরাও ন্যায্যভাবে টিকিট পাবেন। ভবিষ্যতে আরও কড়া নজরদারি চালানোর পরিকল্পনাও রয়েছে যাতে কোনো এজেন্ট বা সফটওয়্যার-ভিত্তিক বট এই ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ না করতে পারে।এই পদক্ষেপের ফলে, যারা প্রকৃতভাবে ভ্রমণ করতে চান, তাঁদের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ তৈরি হবে। আধার সংযুক্ত অ্যাকাউন্টকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে এবং অন্যদিকে, ভুয়ো আইডি ধাপে ধাপে বাতিল করা হবে।
প্রশ্নোত্তর (FAQ):
১. প্রতিদিন কতজন যাত্রী তৎকাল টিকিটের জন্য আবেদন করেন?
প্রায় ২.২৫ লক্ষ যাত্রী প্রতিদিন তৎকাল টিকিট অনলাইনে বুক করার চেষ্টা করেন।
২. তৎকাল টিকিট বুকিংয়ে কী ধরনের জালিয়াতি ধরা পড়েছে?
ভুয়ো অ্যাকাউন্ট থেকে বুকিং, বট সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় টিকিট কনফার্ম—এই ধরনের অসদুপায়ের অভিযোগ উঠেছে।
৩. কতগুলি অ্যাকাউন্ট সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে?
প্রায় ২০ লক্ষ অ্যাকাউন্ট ভুয়ো বা অনির্ভরযোগ্য বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
৪. কীভাবে রেল এই সমস্যার সমাধান করতে চাইছে?
আধার-ভিত্তিক ভেরিফিকেশন চালু করে, ভুয়ো অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় করে এবং সফটওয়্যার নজরদারির মাধ্যমে এই সমস্যার মোকাবিলা করা হচ্ছে।
৫. এই নতুন নিয়মে সাধারণ যাত্রীরা কীভাবে উপকৃত হবেন?
প্রকৃত যাত্রীরা সহজে এবং দ্রুত টিকিট পেতে পারবেন, এবং অনৈতিক পদ্ধতিতে বুকিং রুখে যাবে।