Home Shorts Videos Gallary Join
প্রথম পাতা খবর বিনোদন OTT ওয়েব সিরিজ লাইফস্টাইল তথ্য প্রযুক্তি

৮০০০mAh ব্যাটারি সহ iQOO Z10 Turbo+ লঞ্চ, পারফরম্যান্সে Jio-র 5G ফোনকেও টক্কর

আগামী দিনে স্মার্টফোনের দুনিয়ায় ফের এক বড়সড় চমক দিতে চলেছে জনপ্রিয় ব্র্যান্ড iQOO। বহু প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে কোম্পানিটি বাজারে আনতে চলেছে তাদের নতুন মডেল iQOO Z10 Turbo+, যেখানে থাকবে বিশাল ৮,০০০ mAh ব্যাটারি, লেটেস্ট MediaTek Dimensity 9400+ প্রসেসর এবং একাধিক প্রিমিয়াম ফিচার। নতুন এই হ্যান্ডসেটটি মূলত তৈরি হচ্ছে মিড-রেঞ্জ ইউজার ও গেমিং অনুরাগীদের কথা মাথায় রেখে। এর ৮,০০০ mAh ব্যাটারি ডিভাইসটিকে ব্যাকআপে দেবে একাধিক দিন—যা সাধারণ মোবাইল ফোনের চেয়ে অনেকটাই বেশি। এর সঙ্গে ৯০W ফাস্ট চার্জিং থাকায় খুব অল্প সময়েই চার্জ সম্পূর্ণ করে নেওয়া যাবে।

প্রসেসরের দিক থেকেও পিছিয়ে নেই ফোনটি। এতে ব্যবহার করা হয়েছে Dimensity 9400+ চিপসেট, যা TSMC-এর ৩ ন্যানোমিটার N3E আর্কিটেকচারে তৈরি। ফলে গেমিং, মাল্টিটাস্কিং বা ভিডিও এডিটিং—যেকোনো কাজেই এই ফোন পারফর্ম করবে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে। ডিসপ্লে ও ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করার লক্ষ্যে ফোনটিতে থাকছে ৬.৭৮‑ইঞ্চি AMOLED স্ক্রিন, যার রেজোলিউশন ১.৫K এবং রিফ্রেশ রেট ১৪৪Hz। ফলে গেম খেলা বা ভিডিও স্ট্রিমিং-এর সময় দেখা যাবে স্পষ্ট ও মসৃণ ভিজ্যুয়াল।

ক্যামেরা সেটআপেও চমক রয়েছে। রিয়ার ক্যামেরায় থাকছে ৫০MP Sony LYT‑600 সেন্সর, সাথে ৮MP আল্ট্রাওয়াইড ক্যামেরা, যা দিয়ে তোলা যাবে স্পষ্ট ও বিস্তারিত ছবি। সামনে থাকবে ১৬MP সেলফি ক্যামেরা, যা ভিডিয়ো কল ও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের জন্য একেবারে উপযুক্ত। Geekbench বেঞ্চমার্ক অনুযায়ী ফোনটিতে থাকতে পারে ১৬GB RAM এবং Android 15 অপারেটিং সিস্টেম। ফোনের single-core স্কোর প্রায় ২১৯৬ এবং multi-core স্কোর ৮৯০৭—যা এর শক্তিশালী পারফরম্যান্সকে প্রমাণ করে। তাছাড়া, Z10 Turbo+ ডিভাইসে থাকছে 7K Ice Dome VC liquid cooling প্রযুক্তি ও IP65 ধুলা ও জল প্রতিরোধ ক্ষমতা। সব মিলিয়ে এটি একটি টেকসই এবং হেভি-ডিউটি ফোন হিসেবেই আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে।

 কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর:

১. iQOO Z10 Turbo+ কেন এত আলোচনায়?
এই ফোনের ৮,০০০ mAh ব্যাটারি এবং Dimensity 9400+ চিপসেট এটিকে বাজারের অন্যান্য ফোন থেকে আলাদা করে তুলছে।

২. ফোনটির ডিসপ্লে ও ক্যামেরা কতটা উন্নত?
এতে রয়েছে ৬.৭৮‑ইঞ্চি AMOLED স্ক্রিন (১.৫K, ১৪৪Hz) এবং ৫০MP + ৮MP রিয়ার ক্যামেরা ও ১৬MP ফ্রন্ট ক্যামেরা।

৩. পারফরম্যান্স কেমন হতে পারে?
Geekbench অনুযায়ী ফোনটি ১৬GB RAM ও Android 15 সহ আসছে, যার স্কোর যথাক্রমে ২১৯৬ (single) ও ৮৯০৭ (multi-core)।

৪. চার্জিং কতটা দ্রুত হবে?
৯০W ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট থাকায় এটি খুব কম সময়েই ফুল চার্জ হয়ে যাবে।

৫. ফোনটি কবে ও কোথায় পাওয়া যাবে?
প্রাথমিকভাবে এটি চীনে লঞ্চ হবে বলে জানা গিয়েছে, পরে ভারতে এবং অন্যান্য দেশে রিলিজের সম্ভাবনা রয়েছে।