কলকাতার তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে এক বড় মাইলস্টোন ছুঁল আইটিসি। নিউটাউনের অ্যাকশন এরিয়া থ্রি-তে তৈরি হল আইটিসি-র নতুন IT এবং ITES ক্যাম্পাস, যার আনুমানিক ব্যয় ১২০০ কোটি টাকা। ইতিমধ্যেই এই ক্যাম্পাসের জন্য নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (NKDA) থেকে ওকুপেন্সি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই প্রকল্পকে ‘বহুজাতিক বিনিয়োগ আকর্ষণের পথপ্রদর্শক’ বলে উল্লেখ করেছেন। আইটিসি-র এই নতুন ক্যাম্পাসটি WBHIDCO কর্তৃক বরাদ্দ ১৭ একর জমির উপর গড়ে তোলা হয়েছে। পুরো ক্যাম্পাসে রয়েছে তিনটি প্রধান ভবন—একটি উঁচু অফিস টাওয়ার, একটি বিজনেস সাপোর্ট সেন্টার এবং একটি নলেজ সেন্টার। সব মিলিয়ে নির্মিত স্থাপনার পরিমাণ ১৪.৫ লক্ষ বর্গফুট। এই বিশাল পরিকাঠামোর মাধ্যমে সরাসরি অন্তত ৫ হাজার পেশাদারকে চাকরির সুযোগ দেওয়া হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
এই প্রকল্প রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে আরও শক্তিশালী করবে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই নিউটাউনে একাধিক টেক কোম্পানিকে জমি বরাদ্দ করেছে। TCS, Cognizant, Infosys-এর মতো সংস্থাগুলিও এই এলাকায় তাঁদের উপস্থিতি বাড়াচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে আইটিসি-র এই উদ্যোগ আরও কর্মসংস্থান তৈরি করবে এবং রাজ্যের ডিজিটাল ইকোনমিকে ত্বরান্বিত করবে। আইটি ক্যাম্পাসটি শুধুমাত্র কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করছে না, বরং শিক্ষিত যুব সমাজের জন্য এক নতুন দিশা দেখাচ্ছে। রাজ্যে যেভাবে স্টার্ট-আপ এবং ডিজিটাল উদ্যোগ বাড়ছে, তাতে এই ধরনের পরিকাঠামো অত্যন্ত সময়োপযোগী। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ক্যাম্পাস পরোক্ষভাবে আরও বহু ছোট সংস্থা এবং সাপ্লাই চেইন সংস্থার বিকাশে সহায়তা করবে। এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে প্রায় ২ লক্ষের বেশি মানুষ যুক্ত রয়েছেন। রাজ্য সরকারের লক্ষ্য আগামী কয়েক বছরে এই সংখ্যা ৫ লক্ষে নিয়ে যাওয়া। সেই লক্ষ্যপূরণে আইটিসি-র এই নতুন ইনফ্রাস্ট্রাকচার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে।
প্রশ্নোত্তর (FAQ):
১. কোথায় তৈরি হয়েছে আইটিসি-র নতুন ক্যাম্পাস?
নিউটাউন, অ্যাকশন এরিয়া III-তে, WBHIDCO দ্বারা বরাদ্দ ১৭ একর জমিতে এই ক্যাম্পাস তৈরি হয়েছে।
২. এই প্রকল্পে কত টাকার বিনিয়োগ হয়েছে?
প্রায় ১২০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ করা হয়েছে পুরো প্রকল্পে।
৩. কতজনের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে এখানে?
প্রথম পর্যায়ে প্রায় ৫ হাজার পেশাদারদের জন্য সরাসরি চাকরির সুযোগ তৈরি হবে।
৪. ক্যাম্পাসে কী কী সুবিধা থাকছে?
তিনটি ভবন—উঁচু অফিস টাওয়ার, বিজনেস সাপোর্ট সেন্টার এবং নলেজ হাব—রয়েছে এই প্রকল্পে।
৫. এই উদ্যোগের মাধ্যমে রাজ্যের কী লাভ হবে?
এই ক্যাম্পাস রাজ্যে ডিজিটাল এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিনিয়োগের পরিবেশ গড়ে তুলবে এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।