মা কালীর স্বপ্নাদেশ পেয়ে গড়ে উঠেছিল এই বিখ্যাত খালড় কালীবাড়ি মন্দির
পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার বাগনানে আছে ‘খালড়’ গ্রাম। এখানকার জেলা সদর দপ্তর হাওড়া থেকে ৪৩ কিলোমিটার, কলকাতা থেকে ৪৯ কিলোমিটার দূরে এই গ্রামটি অবস্থিত। বাগনান, ঘোড়াঘাটা এই দুটি হলো এখানকার সবচেয়ে কাছের রেল স্টেশন। আশেপাশের গ্রাম গুলির মধ্যে রয়েছে চন্দ্রপুর, চন্দ্রভাগ, বাঁটুল, বিদ্যানাথপুর, বাঙালপুর, চন্ডীপুর ইত্যাদি।
পূর্ব মেদিনীপুর ও হাওড়ার সীমান্তে অবস্থিত এই গ্রামের মূল আকর্ষণ হলো এক বিখ্যাত কালী মন্দির। ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, বাগনান একসময় মোঘল আমলে বিখ্যাত জমিদার বর্ধমানের মহারাজা কন্দর্প নারায়নের জমিদারির অন্তর্ভুক্ত ছিল। পরে অবশ্য ঠাকুরের স্বপ্নাদেশ পেয়ে রাজা দামোদরের তীরে প্রায় ৮ ফুট উচ্চতার দক্ষিণাকালীর মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন। ইঁটের তৈরি এই মন্দিরের ভেতরে রয়েছে দক্ষিণাকালী। নিচে রয়েছেন শিব, শয়নরত অবস্থায়। এই মূর্তিটি নিম কাঠ দিয়ে নির্মিত হয়েছে।
তবে জনশ্রুতি থেকে জানা যায়, পুরনো মূর্তিটি নাকি নষ্ট হয়ে গেছে, পরবর্তীকালে নতুন কাঠ দিয়ে মূর্তিটি তৈরি করা হয়। মন্দিরের সম্মুখভাগে নাট মন্ডপের দুপাশে দুটো আট চালা বিশিষ্ট শিব মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এছাড়া পূর্বদিকের মন্দিরে বাণলিঙ্গ ও পশ্চিম দিকের মন্দিরে মৃত্যুঞ্জয় শিব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ভাদ্র ও পৌষ মাসে এখানে দেবীর পুজো হয় এবং মূলোকালীর মেলা বসে। এছাড়াও মন্দিরের ভেতরে রয়েছে পাল যুগের কষ্টিপাথরের বিষ্ণুমূর্তি ও ছয়টি পাথরের কূর্মমূর্তি।