কয়েকদিনের অপেক্ষার পর অবশেষে বৃষ্টির জোরালো ইঙ্গিত মিলল দক্ষিণবঙ্গে। উত্তর ওডিশা ও বঙ্গোপসাগরের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে দুইটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে, যা দক্ষিণবঙ্গ ও কলকাতায় ভারী বৃষ্টির পরিস্থিতি তৈরি করছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে একটি ট্রফ লাইন, যা উত্তরপ্রদেশ থেকে ওডিশা, ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশের উপর দিয়ে বঙ্গোপসাগরে বিস্তৃত। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার থেকেই বৃষ্টিপাত বৃদ্ধি পাবে এবং ছুটির দিনগুলিতে আরও ব্যাপক হতে পারে।মঙ্গলবার কলকাতার কিছু অংশে হালকা বৃষ্টি হলেও তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেনি। তবে বৃহস্পতিবার থেকে পরিস্থিতির বদল হতে পারে। জোরালো মৌসুমি বায়ু বঙ্গোপসাগরের উপর শক্তি ফিরে পেতে শুরু করেছে। এর ফলে আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যেই দক্ষিণবঙ্গে মৌসুমি বায়ুর অগ্রগতি সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, চলতি মরশুমে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশে বিলম্ব হয়েছে। যদিও উত্তরবঙ্গে বর্ষা ২৯ মে-তে পৌঁছে গিয়েছিল, যা স্বাভাবিক সময়ের আট দিন আগেই। কিন্তু এরপরই বর্ষা স্থবির হয়ে পড়ে। দীর্ঘ খরার পর এই সম্ভাব্য বৃষ্টিপাত জনজীবনে কিছুটা স্বস্তি আনতে পারে, বিশেষ করে কৃষিজীবী মানুষদের কাছে এটি বড় সুখবর।আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টিপাতের কারণে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা কমতে পারে। ফলে গরম ও আর্দ্রতা থেকে কিছুটা রেহাই পাওয়া যাবে শহরবাসীর। যেহেতু বৃষ্টিপাত কয়েকদিন স্থায়ী হতে পারে, তাই প্রশাসনের পক্ষ থেকে জলজট মোকাবিলায় প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
পাঠকদের জিজ্ঞাসা
১. দক্ষিণবঙ্গে কবে নাগাদ বর্ষা প্রবেশ করতে পারে?
→ আবহাওয়াবিদদের মতে, আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যেই দক্ষিণবঙ্গে মৌসুমি বায়ুর অগ্রগতি সম্ভব।
২. এই বৃষ্টির প্রধান কারণ কী?
→ উত্তর ওডিশা ও বঙ্গোপসাগরের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে তৈরি হওয়া দুইটি ঘূর্ণাবর্ত এবং একটি বিস্তৃত ট্রফ লাইনের ফলে বৃষ্টি হচ্ছে।
৩. কলকাতায় বৃষ্টিপাত কতটা জোরালো হতে পারে?
→ বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টি বাড়বে এবং ছুটির দিনগুলিতে তা আরও তীব্র হতে পারে।
৪. তাপমাত্রায় কোনও পরিবর্তন হবে কি?
→ বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস পেতে পারে, যা গরমের হাত থেকে সাময়িক মুক্তি দেবে।
৫. শহরে জলজটের সম্ভাবনা আছে কি?
→ বৃষ্টি বাড়লে জলজটের সম্ভাবনা রয়েছে, তবে প্রশাসন সতর্ক রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।