কলকাতার পরিবহণ ব্যবস্থায় আসছে এক বড় পরিবর্তন। বহু প্রতীক্ষার পর অবশেষে পূর্ব-পশ্চিম মেট্রোর (Green Line) শেষ অংশ—এসপ্লানাড থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত ২.৬ কিলোমিটারের ভূগর্ভস্থ পথ—চালুর প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি মার্চ ২০২৫-এ নিরাপত্তা অনুমোদন দিয়েছেন, যা এই রুটের বাণিজ্যিক উদ্বোধনের পথে শেষ বড় বাধা দূর করেছে। শহরের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তকে যুক্ত করার এই প্রকল্প বহুদিন ধরেই যাত্রীদের কাছে আগ্রহের কেন্দ্র। এই সেকশন চালু হলে Howrah Maidan থেকে Sector V পর্যন্ত পূর্ব-পশ্চিম মেট্রো পরিষেবা একটানা চলবে। পুরো করিডরের দৈর্ঘ্য হবে ১৬.৬ কিমি, যা দৈনিক প্রায় ৭ লক্ষ যাত্রী পরিবহনের ক্ষমতা রাখবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সংযোগ চালু হলে কলকাতার ট্রাফিক চাপ কমে আসবে এবং যাতায়াতের গতি বাড়বে।
তবে এই আনন্দের মধ্যেও রয়েছে ক্ষোভের সুর। কারণ, নিরাপত্তা অনুমোদন মেলার পরও চালুর নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করা হয়নি। বহুদিন ধরে টানেলের কাজ স্থগিত থাকার কারণে সময়সূচিতে বিলম্ব হয়েছে, যার ফলে যাত্রীদের ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হয়েছে। অফিসগামী ও নিয়মিত যাত্রীদের মতে, এই বিলম্বে দৈনন্দিন জীবনে অসুবিধা বেড়েছে। রেলওয়ে সূত্রে খবর, সমস্ত প্রযুক্তিগত ও যান্ত্রিক পরিদর্শন সম্পন্ন হয়েছে। সিগন্যালিং, স্টেশন অবকাঠামো এবং যাত্রী নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করে সেগুলি কার্যকর বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। এখন কেবল বাণিজ্যিক অপারেশনের তারিখ ঘোষণাই বাকি। এই নতুন সেকশন চালু হলে শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। Howrah ও Sealdah-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ টার্মিনাল স্টেশন থেকে মেট্রো সংযোগের ফলে অফিস সময়ে যানজট অনেকটাই হ্রাস পাবে। একই সঙ্গে সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব যাতায়াতের পথ হিসেবে মেট্রো যাত্রীদের আরও নির্ভরযোগ্য বিকল্প হয়ে উঠবে।
প্রশ্নোত্তর (FAQ)
-
এসপ্লানাড–সিয়ালদহ সেকশন কি সম্পূর্ণ হয়েছে?
→ হ্যাঁ, নির্মাণ ও নিরাপত্তা পরীক্ষা ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। -
কবে এই অংশের নিরাপত্তা অনুমোদন মেলে?
→ মার্চ ২০২৫-এ কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি অনুমোদন দিয়েছেন। -
সম্পূর্ণ East–West Metro চালু হলে কতজন উপকৃত হবেন?
→ প্রায় ৭ লক্ষ যাত্রী দৈনিক এই পরিষেবার সুবিধা পাবেন। -
এখনও কেন চালুর তারিখ ঘোষণা হয়নি?
→ সব কাজ শেষ হলেও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের তারিখ এখনো নির্ধারিত হয়নি। -
এই নতুন রুট শহরের জন্য কী সুবিধা আনবে?
→ পূর্ব ও পশ্চিম কলকাতার মধ্যে যাতায়াত হবে দ্রুত, আরামদায়ক ও সাশ্রয়ী।