শহরের যাতায়াতে বড় পরিবর্তনের সাক্ষী হল কলকাতা। নোয়াপাড়া থেকে জয় হিন্দ (এয়ারপোর্ট) পর্যন্ত মেট্রোর Yellow Line আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়েছে ২২ আগস্ট ২০২৫-এ। নতুন এই করিডর উদ্বোধনের ফলে উত্তর থেকে দক্ষিণ কিংবা পূর্ব থেকে পশ্চিম—পুরো শহর ঘুরে ফেলা যাবে আরও দ্রুত এবং স্বাচ্ছন্দ্যে। প্রায় ৬.৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এই করিডরে আপাতত চারটি স্টেশন চালু হয়েছে—নোয়াপাড়া, দমদম ক্যান্টনমেন্ট, যশোর রোড এবং জয় হিন্দ বিমাবন্দর (এয়ারপোর্ট)। যাত্রীদের সুবিধার জন্য এই লাইনটি Blue এবং Green Line-এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এসপ্ল্যানেডে, ফলে এক ঘণ্টারও কম সময়ে কলকাতার প্রান্তিক অংশগুলিতে পৌঁছে যাওয়া সম্ভব হবে। ভাড়া নিয়েও রাখা হয়েছে স্বস্তির ছোঁয়া। এয়ারপোর্ট থেকে শহীদ খুদিরাম পর্যন্ত ভাড়া মাত্র ৪৫ টাকা, আর ডাকশিনেশ্বর পর্যন্ত ৩০ টাকা। গোটা নেটওয়ার্কে ভাড়া সীমা রাখা হয়েছে ৫ টাকা থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত। সাশ্রয়ী টিকিট মূল্য যাত্রীদের বাড়তি আকর্ষণ হিসেবে কাজ করবে বলেই আশা করা হচ্ছে।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সংযোজন হল জয় হিন্দ স্টেশন, যা দেশের সবচেয়ে বড় আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রো স্টেশন হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে। পাঁচটি প্ল্যাটফর্মের এই স্টেশন Yellow এবং আসন্ন Orange Line-এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারচেঞ্জ হিসেবে গড়ে উঠবে। এর ফলে বিমান যাত্রীদের সঙ্গে শহরের নিয়মিত যাত্রীদেরও যাতায়াত আরও সহজ হবে। এই প্রকল্প চালু হওয়ার পর বিশেষজ্ঞদের মতে, শহরের যানজট অনেকাংশেই কমবে। এয়ারপোর্টে দ্রুত পৌঁছনো এখন অনেকটাই সহজ হয়ে গিয়েছে। Salt Lake থেকে হাওড়া কিংবা দক্ষিণ কলকাতা থেকে এয়ারপোর্ট—সব দিকেই সহজ যোগাযোগ গড়ে উঠবে এই লাইনের মাধ্যমে।
FAQ: সাধারণ প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন ১: নোয়াপাড়া থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত Yellow Line চালু কবে হল?
উত্তর: ২২ আগস্ট ২০২৫ থেকে পরিষেবা চালু হয়েছে।
প্রশ্ন ২: এই করিডরে কতগুলি স্টেশন রয়েছে?
উত্তর: আপাতত চারটি—নোয়াপাড়া, দমদম ক্যান্টনমেন্ট, যশোর রোড ও জয় হিন্দ বিমাবন্দর।
প্রশ্ন ৩: সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ ভাড়া কত?
উত্তর: ন্যূনতম ভাড়া ৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৭০ টাকা।
প্রশ্ন ৪: জয় হিন্দ স্টেশনের বিশেষত্ব কী?
উত্তর: এটি ভারতের সবচেয়ে বড় আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রো স্টেশন, যেখানে পাঁচটি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে এবং Yellow ও Orange Line-এর ইন্টারচেঞ্জ হবে।
প্রশ্ন ৫: যাত্রীরা কত সময়ে শহরের প্রান্তে পৌঁছতে পারবেন?
উত্তর: এসপ্ল্যানেড সংযোগের কারণে এক ঘণ্টারও কম সময়ে উত্তর, দক্ষিণ, পশ্চিম ও পূর্ব কলকাতায় পৌঁছনো যাবে।