কলকাতার প্রবীণ নাগরিকদের জন্য রাজ্য সরকার এক বড় সুবিধার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন থেকে বার্ধক্য ভাতা পেতে আর যেতে হবে না বিধাননগরের কেন্দ্রীয় অফিসে। বরং ওয়ার্ড ও বরো স্তরের পুরসভা অফিস থেকেই আবেদন গ্রহণ, প্রক্রিয়াকরণ এবং অনুমোদন সম্পন্ন হবে। এর ফলে প্রবীণ নাগরিকরা আর প্রশাসনিক জটিলতায় পড়বেন না। এই নতুন ব্যবস্থার মূল উদ্যোক্তা কলকাতা পুরসভার কমিশনার ধবল জাইন। রাজ্য মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর তাঁর নেতৃত্বে দ্রুত এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে। পুরসভার বিভিন্ন দপ্তর ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে, যদিও এখনও লিখিত নির্দেশিকা প্রকাশিত হয়নি।
এখন প্রতিটি ওয়ার্ড ও বরো অফিস থেকে বার্ধক্য ভাতার আবেদন নেওয়া হবে। তারপর ওই তথ্য পৌরসভার সদর দপ্তরে পাঠানো হবে, যেখানে তা কমিশনারের অনুমোদনে দ্রুত নিষ্পত্তি করা হবে। আগের মতো আর কেন্দ্রীয় দপ্তরে ঘুরে ঘুরে আবেদন করতে হবে না, ফলে প্রবীণদের সময় ও পরিশ্রম দুটোই বাঁচবে। পুরসভা সূত্রে জানা গেছে, এই পদক্ষেপের ফলে শুধুমাত্র পুরনো নাগরিকরাই নয়, বরং তাঁদের পরিবারগুলিও উপকৃত হবেন। কারণ আগে ভাতা পেতে হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পরিবারের কাউকে প্রায়ই বারবার বিধাননগরে যেতে হত। সেই বাধাও এবার দূর হচ্ছে।
যদিও লিখিত নির্দেশিকা এখনও প্রকাশিত হয়নি, প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে খুব শীঘ্রই তা ঘোষণা করা হবে। ইতিমধ্যেই মাঠপর্যায়ে কর্মীদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড অফিসে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজও চলছে। রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগকে ‘জনমুখী ও মানবিক’ বলে মনে করছেন অনেক প্রবীণ নাগরিক। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা সহজে এবং দ্রুত পাওয়াই ছিল মূল উদ্দেশ্য—এবং এই ব্যবস্থার ফলে সেই লক্ষ্য অনেকটাই পূরণ হতে চলেছে।
FAQ: পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন
১. এখন থেকে বার্ধক্য ভাতার জন্য আবেদন কোথায় জমা দিতে হবে?
– আপনার ওয়ার্ড বা বরো অফিসেই আবেদন জমা দেওয়া যাবে।
২. কে অনুমোদন দেবেন এই ভাতা?
– পৌরসভার কমিশনার সরাসরি আবেদন যাচাই করে অনুমোদন দেবেন।
৩. বিধাননগরের দপ্তরে যাওয়ার প্রয়োজন কি পুরোপুরি উঠে গেল?
– সাধারণ ক্ষেত্রে আর বিধাননগর যেতে হবে না।
৪. নতুন নিয়ম কার্যকর হয়েছে কি?
– হ্যাঁ, মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পুরসভা ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে।
৫. লিখিত নিয়মাবলি কবে আসবে?
– এখনও প্রকাশিত হয়নি, তবে শীঘ্রই সরকারি নির্দেশিকা জারি হবে।