Home Shorts Videos Gallary Join
প্রথম পাতা খবর বিনোদন OTT ওয়েব সিরিজ লাইফস্টাইল তথ্য প্রযুক্তি

Weather Update: আসছে আরও দুর্যোগ! বুধবার ৬ জেলায় ভারী বর্ষণের সতর্কতা জারি

৮ জুলাই ভোরে হঠাৎ ঘুম ভেঙে বহু কলকাতাবাসী নিজেকে জলমগ্ন রাস্তায় আবিষ্কার করেন। রাতভর চলা প্রবল বর্ষণের জেরে কলকাতার একাধিক এলাকা কার্যত জলকাদার রাজ্যে পরিণত হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের ফলে রাতভর প্রবল বৃষ্টিপাত হয় শহরজুড়ে। যার প্রভাব পড়ে শ্যামবাজার, উল্টোডাঙা, ঢাকুরিয়া, বালিগঞ্জ, বেহালা, ইএম বাইপাস, সল্টলেক সেক্টর ফাইভ ও হাওড়ার একাধিক অংশে। সকাল থেকে শুরু হয় যানজট, দোকান-বাজারে জল, অফিসপাড়ায় দুর্ভোগ—সর্বত্র জল থৈথৈ অবস্থা।

আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, সামনের দিনগুলোতেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে, তবে কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এর সঙ্গে উপকূলবর্তী অঞ্চলে বইছে ঘণ্টায় ৩৫–৪৫ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া, যা ক্ষণে ক্ষণে ৫৫ কিমি/ঘণ্টায় পৌঁছচ্ছে। এর ফলে সমুদ্র উত্তাল হয়ে ওঠায় মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। জল জমার পরিস্থিতি সামাল দিতে কলকাতা পৌরসংস্থা, হাওড়া পুরসভা এবং সল্টলেক কর্তৃপক্ষ ড্রেনেজ পাম্প চালু করেছে এবং রাস্তা থেকে জল সরাতে নামানো হয়েছে অতিরিক্ত কর্মী। কিছু জায়গায় জ্যাম কমাতে পুলিশ ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণেও তৎপর। বর্ষা শুরু হতেই শহরজুড়ে পুরনো ড্রেনেজ ব্যবস্থার ভগ্নদশা ফের চোখে পড়ল। নাগরিকদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হলেও, কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করছে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার আশ্বাসে।

 FAQ (প্রশ্নোত্তর)

১. কোন সময়ে ও কোথায় জল জমার ঘটনা ঘটেছে?
→ ৮ জুলাই সকালে শ্যামবাজার, উল্টোডাঙা, ঢাকুরিয়া, বালিগঞ্জ, বেহালা, ইএম বাইপাস, সল্টলেক সেক্টর ৫ ও হাওড়ার বিভিন্ন অংশে জল জমে যায়।

২. এই বৃষ্টিপাতের মূল কারণ কী?
→ দক্ষিণ-পূর্ব গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে নিম্নচাপ তৈরি হওয়ায় এই অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে।

৩. আগামী দিনে আবহাওয়ার কী পূর্বাভাস?
→ আগামী দিনে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, কিছু এলাকায় ভারী বৃষ্টিও হতে পারে বলে জানিয়েছে IMD।

৪. জল জমা ঠেকাতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?
→ পৌর সংস্থাগুলি জরুরি ভিত্তিতে পাম্প চালু করেছে ও রাস্তা পরিষ্কারে অতিরিক্ত কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।

৫. উপকূলবর্তী অঞ্চলে কোনও সতর্কতা জারি করা হয়েছে কি?
→ হ্যাঁ, উপকূলে ঘণ্টায় ৩৫–৫৫ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইছে, তাই মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।