পুজোর আগেই রাজ্যে নতুন করে বাড়তে পারে মহিলাদের মাসিক ভাতা, এমন জল্পনা এখন রাজনৈতিক মহল থেকে সাধারণ মানুষের আলোচনায় উঠে এসেছে। জনপ্রিয় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প নিয়ে আবারও বাড়তি প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে, তবে সরকারি তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি। বর্তমানে এই প্রকল্পের আওতায় সাধারণ শ্রেণির মহিলারা প্রতি মাসে ১,০০০ টাকা করে পাচ্ছেন। তফশিলি জাতি ও উপজাতির মহিলাদের জন্য নির্ধারিত হয়েছে ১,২০০ টাকা। ২০২৪ সালের সংশোধিত নিয়ম অনুযায়ী এই ভাতা দেওয়া হচ্ছে।
কিন্তু সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়া কিছু রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, মাসিক ভাতার অঙ্ক বাড়িয়ে সরাসরি ২,১০০ টাকা করা হতে পারে। তবে এই সুবিধা কেবলমাত্র সেইসব মহিলাদের জন্য প্রযোজ্য হবে যাঁদের মাসিক আয় ২,১০০ টাকার কম। পাশাপাশি, আয়ের প্রমাণপত্র জমা দেওয়ার শর্তও রাখা হতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। যদিও, এই দাবির পক্ষে সরকারিভাবে কিছুই জানানো হয়নি। ফলে বিষয়টি আপাতত জল্পনার পর্যায়েই রয়েছে। রাজনৈতিক মহলের একটি অংশ মনে করছে, ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগে মহিলাদের বড় সুবিধা দেওয়ার বার্তা ছড়াতেই এই গুঞ্জন ছড়ানো হচ্ছে। তবে সত্যিই ভাতা বাড়বে কি না, সেই সিদ্ধান্ত একমাত্র সরকারের আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তিতেই স্পষ্ট হবে।
রাজ্যের প্রায় প্রতিটি পরিবারে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প নিয়ে আগ্রহ প্রবল। মহিলাদের হাতে মাসে ১,০০০ থেকে ১,২০০ টাকা পৌঁছনোর ফলে অর্থনৈতিক সুরক্ষা কিছুটা হলেও তৈরি হয়েছে। তাই এবার ভাতা দ্বিগুণেরও বেশি হলে তা নিঃসন্দেহে বড় আর্থিক সহায়ক হবে বলে মনে করছেন অনেকে। কিন্তু যেহেতু এখনও কোনও সরকারি নোটিশ নেই, তাই উপভোক্তাদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
সাধারণ প্রশ্নোত্তর (FAQ)
প্রশ্ন ১: বর্তমানে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে কত টাকা দেওয়া হচ্ছে?
উত্তর: সাধারণ মহিলাদের জন্য ১,০০০ টাকা এবং এসসি/এসটি মহিলাদের জন্য ১,২০০ টাকা মাসিক ভাতা দেওয়া হচ্ছে।
প্রশ্ন ২: ২,১০০ টাকায় বাড়ানোর খবর কি নিশ্চিত?
উত্তর: না, এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে কিছু ঘোষণা করা হয়নি। বিষয়টি শুধুই জল্পনা।
প্রশ্ন ৩: কাদের জন্য ভাতা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে?
উত্তর: রিপোর্টে বলা হয়েছে, যাঁদের মাসিক আয় ২,১০০ টাকার কম এবং প্রমাণপত্র জমা দিতে পারবেন, তাঁরাই এই বাড়তি সুবিধা পেতে পারেন।
প্রশ্ন ৪: কখন থেকে এই পরিবর্তন কার্যকর হতে পারে?
উত্তর: যেহেতু কোনও সরকারি বিজ্ঞপ্তি নেই, তাই কার্যকারিতা সম্পর্কে কিছু নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না।
প্রশ্ন ৫: রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কেন এই আলোচনা জোর পাচ্ছে?
উত্তর: বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মহিলাদের আর্থিক সুবিধা বাড়িয়ে ভোটারদের আকর্ষণ করার পরিকল্পনা হতে পারে।