পশ্চিমবঙ্গের বহু পরিবারের মহিলাদের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে এক নতুন আর্থিক ভরসা। রাজ্য সরকারের “লক্ষ্মীর ভাণ্ডার” প্রকল্প শুধু মাসিক আর্থিক সহায়তা নয়, এক প্রকার নারী ক্ষমতায়নের সোপান হিসেবে দেখা হচ্ছে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই প্রকল্প চালু হওয়ার পর থেকেই ধাপে ধাপে যুক্ত হয়েছেন কোটি কোটি নারী। সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে প্রায় ২.২ কোটি মহিলা এই প্রকল্পের নিয়মিত ভাতা পাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত রাজ্যের তহবিল থেকে এই খাতে বরাদ্দ হয়েছে ৬৩,৬১৫ কোটি টাকা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রকল্প গ্রামীণ ও শহুরে দু’ধরনের পরিবারকেই স্বস্তি দিয়েছে।
কারা পাচ্ছেন এই সুবিধা?
সরকারি নীতিমতে, ২৫ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে বয়সী মহিলারা এই প্রকল্পে যুক্ত হতে পারেন। যাঁরা ‘স্বাস্থ্য সাথী’ কার্ডের অন্তর্ভুক্ত, তাঁদের মধ্যে অন্যান্য শ্রেণির মহিলারা মাসে ১০০০ এবং তফসিলি জাতি/তফসিলি উপজাতির মহিলারা মাসে ১২০০ পান।
বয়স্কদের জন্য স্বয়ংক্রিয় পেনশন
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল, বয়স ৬০ পেরোলেই সুবিধাভোগীরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বৃদ্ধভাতা (old-age pension) পেয়ে থাকেন। বর্তমানে প্রায় ৬.৮ লাখ মহিলা এই অতিরিক্ত সুবিধার আওতায় এসেছেন। অর্থাৎ, আলাদা করে আবেদন না করেও তাঁরা প্রকল্পের মূল ভাতার সমপরিমাণ পেনশন পেয়ে যাচ্ছেন।
সামাজিক প্রভাব
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই প্রকল্প মহিলাদের আর্থিক নিরাপত্তা ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করছে। পরিবারের খরচ চালানো হোক বা সন্তানের পড়াশোনা—অতিরিক্ত আর্থিক সহায়তা তাঁদের দৈনন্দিন জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনছে।
FAQ (৫টি প্রশ্ন)
১. লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প কবে শুরু হয়েছিল?
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাজ্য সরকার এই প্রকল্প চালু করে।
২. মাসিক ভাতার পরিমাণ কত?
SC/ST মহিলারা মাসে ১২০০ এবং অন্যান্য শ্রেণির মহিলারা মাসে ১০০০ পান।
৩. কারা এই প্রকল্পের আওতায় আসতে পারবেন?
২৫ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে বয়সী, স্বাস্থ্য সাথী কার্ডধারী মহিলারা।
৪. ৬০ বছরের পর ভাতা কীভাবে পাওয়া যায়?
৬০ বছর পূর্ণ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বৃদ্ধভাতা চালু হয়, যা প্রকল্পের মূল ভাতার সমান।
৫. কতজন মহিলা ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন?
প্রায় ২.২ কোটি মহিলা এই প্রকল্পের আওতায় এসেছেন।