Madan Mitra: নন্দিনীর ভাতের হোটেলে আচমকা হাজির মদন মিত্র, দিলেন বড় অর্ডার
আবারও খবরের শিরোনামে উঠে এলেন ‘হোটেলদিদি’ নন্দিনী গাঙ্গুলী (Nandini Ganguly)। গত দুই বছর ধরে তিন নম্বর কয়লাঘাট এলাকায় রাস্তার ধারে ভাতের হোটেল চালাচ্ছেন তিনি। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে ইউটিউবার ও ফুড ভ্লগারদের দৌলতে ভাইরাল হয়ে গিয়েছেন নন্দিনী। প্রায় সারাক্ষণ তাঁর দোকানে ইউটিউবারদের আনাগোনা। ফলে তাঁর ক্রেতাদের অনেকের অভিযোগ, তাঁরা সময় মতো খাবার পাচ্ছেন না। উপরন্তু এক খদ্দেরের সাথে নন্দিনীর ঝগড়ার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার ফলে রীতিমত ট্রোল হচ্ছেন তিনি। এমনকি নন্দিনীকে হুমকি দেওয়া হয়েছে, তাঁকে দোকান ছেড়ে দিতে হবে। বর্তমানে তিনি ভয় পাচ্ছেন, মাথার উপর থেকে ছাদটা না চলে যায়। কিছুদিন আগেই এই কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন নন্দিনী। এবার তাঁর পাশে এসে দাঁড়ালেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)।
এদিন প্রায় হঠাৎই মদন উপস্থিত হন নন্দিনীর দোকানে। তিনি বলেন, বিধানসভা থেকে ফিরছিলেন। তাঁর এলাকার একটি স্কুলের স্পোর্টস ডে রয়েছে। সেখানে বাচ্চাদের লাঞ্চের ব্যবস্থা করার অনুরোধ এসেছিল মদনের কাছে। তিনি বুঝতে পারছিলেন না, কোথায় অর্ডার দেবেন। সেই সময় তাঁর সহযোগী ফেসবুক থেকে নন্দিনীর পাইস হোটেলের তথ্য দেন। ওই সহযোগীও যথেষ্ট সুখ্যাতি করেন। ফলে মদন এসে পৌঁছান নন্দিনীর পাইস হোটেলে। মদনের মতে, রীতিমত এলাহি কান্ড চলছে এখানে। উপস্থিত সকলের অনুরোধে নন্দিনীর পাইস হোটেলের পালংশাকের তরকারিও খেয়ে দেখেন মদন। তিনি বলেন, অসাধারণ রান্না, মনে হচ্ছে বাড়ির খাবার খাচ্ছেন তিনি।
নন্দিনীকে তিনশো প্লেট মাংস-ভাতের অর্ডার দিয়েছেন মদন। মদনের উপস্থিতিতে অভিভূত নন্দিনী ও তাঁর পরিবার। সাম্প্রতিক কালে ‘দিদি নং ওয়ান’-এ গিয়েও ট্রোল হয়েছেন নন্দিনী। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, শৈশবে পরিবারের আর্থিক পরিস্থিতি ঠিকঠাক ছিল। তাঁর বাবার রবারের ব্যবসা ছিল। দুই বোন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েছেন। নন্দিনী ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। কিন্তু নোটবন্দির সময় তাঁর বাবার ব্যবসাও বন্ধ হয়ে যায়। নন্দিনীর বাবা সেই সময় দু’শো টাকা রোজে ডালহৌসির একটি খাবারের দোকানে কাজ করতেন। বাবার পাশে দাঁড়াতেই চাকরি নিয়ে গুজরাটে চলে যান নন্দিনী। কিন্তু করোনা অতিমারীর সময় তাঁর চাকরির মাইনে নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। তিনি ফিরে আসেন কলকাতায়।
সেই সময় তাঁর বাবা একটি দোকান ভাড়া নিয়ে ভাতের হোটেল খোলেন। বাবার পাশে দাঁড়াতেই চাকরি ছেড়ে দেন নন্দিনী। ধীরে ধীরে বাড়ে বিক্রি। আপাতত হিট নন্দিনীর ভাতের হোটেল।
View this post on Instagram