Mithai: গল্প বদলে যাওয়ার পরই ‘মিঠাই’ নিয়ে উঠছে একাধিক অভিযোগ
জি বাংলার জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘মিঠাই’ একসময় ছিল বেঙ্গল টপার। মনোহরার মতো ঐতিহ্যবাহী মিষ্টির হৃত গৌরব ফেরাতেই মূলতঃ এই ধারাবাহিকের উৎপত্তি বলে শোনা গিয়েছিল। কিন্তু দিন যত গড়িয়েছে মিঠাইরানীর কাহিনী ততই জটিল হয়ে উঠেছে। একের পর এক ষড়যন্ত্রের পর্দা ফাঁস করেছে মিঠাই ও মোদক পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু এবার ‘মিঠাই’ নিয়েছে কয়েক বছরের লিপ। মৃত্যু হয়েছে মিঠাই-এর। পরিবর্তে তার ও সিডের ছেলে শাক্যর টিচার হিসাবে বাড়িতে এসেছে মিঠি যে কিনা অবিকল মিঠাই-এর মতোই দেখতে।
কিন্তু এত অবধিও দর্শক সহ্য করে নিয়েছিলেন। তাঁরা ভেবেছিলেন, হয়তো মিঠাই-এর মৃত্যু হয়নি। পরিবারের স্বার্থেই অন্য পরিচয়ে ফিরেছে সে। অনেকে ভেবেছিলেন, হয়তো মিঠি ও মিঠাই যমজ বোন। তবে এবার তাঁদের সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। কারণ একসময় কর্পোরেট পেশায় থাকা সিদ্ধার্থ মিঠাই-এর জন্য সব ছেড়ে এসেছিল মোদক পরিবারের পারিবারিক মিষ্টির ব্যবসা সামলাতে। এবার তাকে দেখা যাচ্ছে পুলিশ অফিসারের পেশায়। মাঝে সে আবার রিকি রকস্টারও হয়েছিল। হঠাৎই সিডকে পুলিশ অফিসারের বেশে দেখে মানতে পারছেন না দর্শকদের একাংশ। মিঠাই-এর খুনীদের শাস্তি দিতেই নাকি পুলিশ অফিসার হয়েছে সিদ্ধার্থ। এত সহজে পুলিশ অফিসার বোধহয় টেলিভিশনেই হওয়া যায় বলে সমালোচনা করেছেন অনেকে।
অপরদিকে পাহাড়ের মেয়ে মিঠির এন্ট্রি সিনে নিম্নমানের গ্রাফিক্সের কাজের মাধ্যমে পাহাড়ের অস্তিত্ব সমালোচিত হতে শুরু করেছে। জি বাংলা বর্তমানে দর্শকদের ‘জি কাকু’। সকলে বলতে শুরু করেছেন, সস্তার কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখিয়েছেন জি কাকু। ট্রোলিং-এর সম্মুখীন মিঠির লুক যা দেখে অনেকে বলতে শুরু করেছেন কিরণমালার পিশাচিনী।
এই কয়েক বছরে নীপা, নন্দারা বুড়িয়ে গেলেও মিঠির বয়স কমার ঘটনাও ট্রোলড হচ্ছে। মিঠির লুককে নেটিজেনদের একাংশ ‘কার্টুন’ বলছেন। এবার ভরাডুবির হাত থেকে বাঁচতে পারবে তো ‘মিঠাই’?
View this post on Instagram