দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দারা এবার প্রস্তুত হোন। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটাতে চলেছে বর্ষা। পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি মাসের ১৬ থেকে ১৭ তারিখের মধ্যেই দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করতে চলেছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। উত্তরবঙ্গে ইতিমধ্যেই তা প্রবেশ করেছে গত ২৯ মে এবং অল্প সময়ের মধ্যেই গোটা অঞ্চলজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে।মৌসম দফতর জানাচ্ছে, আপাতত দক্ষিণবঙ্গের উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে গরম ও আর্দ্রতাজনিত হাওয়া। তাপমাত্রা ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী—কয়েক দিনের মধ্যেই পারদ ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে। কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ইতিমধ্যেই ৩৫.৪ ডিগ্রি ছুঁয়েছে, যা সাধারণের তুলনায় বেশ কিছুটা বেশি।
তবে শুধু গরম নয়, দক্ষিণবঙ্গে ধীরে ধীরে শুরু হয়েছে মৌসুমি অস্থিরতা। বুধবার ও বৃহস্পতিবার উপকূলবর্তী ও দক্ষিণের জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেইসঙ্গে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে বলেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে।উত্তরবঙ্গের চিত্র কিন্তু অনেকটাই আলাদা। সেখানে ইতিমধ্যেই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ি এলাকায় ধসের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।অপরদিকে, বঙ্গোপসাগরের উপর থাকা মৌসুমি বায়ুর প্রবাহ কিছুটা থমকে রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশের জন্য সেটির আরও কিছুটা শক্তিশালী হওয়া প্রয়োজন। আবহাওয়া অফিস আশা করছে, ২০ জুনের আগেই দক্ষিণবঙ্গের সর্বত্র বর্ষা পৌঁছে যাবে।
প্রশ্নোত্তর পর্ব (FAQ)
১. কবে বর্ষা ঢুকছে দক্ষিণবঙ্গে?
বর্ষা ১৬ থেকে ১৭ জুনের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
২. উত্তরবঙ্গে কবে বর্ষা ঢুকেছে?
উত্তরবঙ্গে বর্ষা ২৯ মে আগেভাগেই প্রবেশ করেছে।
৩. দক্ষিণবঙ্গে এখনকার তাপমাত্রা কত?
কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ থেকে ৩৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রয়েছে, যা আগামী দিনে আরও বাড়তে পারে।
৪. দক্ষিণবঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া ও বজ্রবিদ্যুৎ কবে হতে পারে?
বুধবার ও বৃহস্পতিবার দক্ষিণের জেলাগুলিতে ঘণ্টায় ৪০–৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া এবং বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
৫. উত্তরবঙ্গে কী ধরনের সতর্কতা জারি হয়েছে?
দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে কমলা সতর্কতা জারি হয়েছে অতিবৃষ্টির জন্য।
