সংসারে অর্থের অভাব হলে স্মরণ করুন দেবী অন্নপূর্ণার, ফিরবে সমৃদ্ধি মায়ের কৃপায়
বিপদে পড়লে আমরা ঈশ্বরের শরণাপন্ন হই। করোনার আবহে এখন যেটা বিশেষ প্রয়োজন তা হলো প্রত্যেকের জীবন-জীবিকাকে বাঁচিয়ে রাখা। প্রতিদিন খাওয়ার পাতে যেন ভাতের অভাব না থাকে এটাই সকলের কামনা। এই চিন্তা দূর করতে মা অন্নপূর্ণার শরণাপন্ন হন। তিনি সমস্ত বিপদ থেকে রক্ষা করবেন। হিন্দু দেব-দেবীদের মধ্যে অন্নপূর্ণা হলেন এক অন্যতম দেবী। তার অপর নাম অন্নদা। তিনি শক্তির আরেক রূপ। অন্নপূর্ণা দ্বিভূজা। তার এক হাতে রয়েছে অন্নপাত্র ও তিনি রক্তবর্ণা।
হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, অন্নপূর্ণা পুজো করলে ঘরে অন্নের অভাব হয় না। তবে প্রাচীনকালের কোন গ্রন্থে এই পূজার উল্লেখ করা হয়নি। কাশীতে মা অন্নপূর্ণার একটি বিখ্যাত মন্দির আছে। এই মন্দিরে অন্নপূর্ণা পুজো ও অন্নকূট হয়। পশ্চিমবঙ্গেও অন্নপূর্ণা পূজার প্রচলন আছে। অন্নপূর্ণা পূজা, কালী ও জগদ্ধাত্রী পূজার মত এক ধরণের তান্ত্রিক পূজো।
তবে মার্কন্ডেয় পুরাণে এবং দেবী ভাগবত পুরাণ ও অন্যান্য পুরাণে এই দেবীর কাহিনী পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে দুটি কাহিনী বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। কাশী প্রতিষ্ঠার উপাখ্যান এবং ব্যাস কাশী প্রতিষ্ঠার উপাখ্যান। চৈত্র মাসের শুক্লা অষ্টমী তিথিতে কাশী মন্দিরে দেবী অবতীর্ণ হন। সেই থেকেই দেবীর প্রচলন বৃদ্ধি পায়। কাশীর এই মন্দিরে দেবীর ধুমধাম করে পুজো হয়। সাথে অন্নকূট এর ও ব্যাবস্থা আছে।