whatsapp channel

চরম বিপদ থেকে রক্ষা পেতে পূজা করুন মা মনসার, আসবে সুখ-সমৃদ্ধি মায়ের কৃপায়

উত্তর-পূর্ব ভারতের এবং অন্যান্য অঞ্চলে প্রচলিত আছে মনসা পূজোর। সর্প দংশনের হাত থেকে রক্ষা পেতে, প্রজনন ও ঐশ্বর্য লাভের উদ্দেশ্যে মনসা পুজো করা হয়। মা মনসা হলেন নাগরাজ বাসুকি ভগিনী…

Avatar

HoopHaap Digital Media

উত্তর-পূর্ব ভারতের এবং অন্যান্য অঞ্চলে প্রচলিত আছে মনসা পূজোর। সর্প দংশনের হাত থেকে রক্ষা পেতে, প্রজনন ও ঐশ্বর্য লাভের উদ্দেশ্যে মনসা পুজো করা হয়। মা মনসা হলেন নাগরাজ বাসুকি ভগিনী এবং ঋষি জরৎকারুর স্ত্রী। তিনি বিষহরি, নিত্যা, পদ্মাবতী।

মনসা স্বভাবে অত্যন্ত উগ্র এবং অসুখী এক দেবী। কোন কোন ধর্ম গ্রন্থে আছে শিব নয় নয়, ঋষি কাশ্যপ হলেন মনসার পিতা। মনসাকে ভক্তবৎসল বললেও তিনি তাঁর পূজা করতে অস্বীকার হন, তিনি কিন্তু তার ওপরে খুব নির্দয় হন। খ্রিস্টীয় ১৪ শতাব্দী নাগাদ মনসা প্রজনন ও বিবাহের দেবী হিসেবে চিহ্নিত হন এবং শিবের আত্মীয় হিসেবে শৈব দেবমন্ডলীর অন্তর্ভুক্ত হন। এবং আস্তে আস্তে শিবের আত্মীয় হিসেবে শৈব দেব মন্ডলীর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হন।

শুধু উত্তর ভারতের নয়, মা মনসার জনপ্রিয়তা দক্ষিণ ভারতেও ছড়িয়ে পড়েছে। ধীরে ধীরে মনসা কেন্দ্রিক ধর্মীয় গোষ্ঠী শৈবধর্মের প্রতিদ্বন্দ্বীকে পরিণত হয়। এর ফলে শিবের কন্যারূপে মানুষের জন্মের উপাখ্যানটি রচিত হয়েছিল। মনসা একটি পদ্মের উপর বসে থাকেন। তার উপর একটি সাপ দাঁড়িয়ে থাকে। সাপের ফণা তার মাথার উপর ছাউনি করে, কোন কোন মূর্তিতে আবার তার কোলের শিশুকে দেখা যায়। এই শিশুটি সম্ভবত আস্তিক। মনসা ‘এক চক্ষু বিশিষ্ট’ দেবী। তাই উত্তর-পূর্ব ভারতের হাজং উপজাতি মানুষেরা মনসাকে ‘কানি দেঊও’ বা ‘অন্ধ দেবী’ বলেন।

whatsapp logo
Avatar
HoopHaap Digital Media