নতুন রূপে সেজে উঠছে নাসিক জেলার পাঁচটি রেলস্টেশন। ‘অমৃত ভারত স্টেশন স্কিম’-এর আওতায় কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রকের অনুমোদিত ১,০১১ কোটি টাকার প্রকল্পে নাসিক রোড, দেবলালি, ওধা, কাসবে সুখেনে ও খেরওয়াড়ি স্টেশনে চলছে ব্যাপক পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ। এই স্কিমের লক্ষ্য, ভারতীয় রেলস্টেশনগুলিকে আধুনিক ও যাত্রীবান্ধব করে তোলা। যাত্রীদের প্রয়োজন ও স্টেশনের ভৌগোলিক গুরুত্ব বিচার করে, প্রতিটি স্টেশনের জন্য পৃথক উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। দেবলালি স্টেশনে তৈরি হচ্ছে একাধিক নতুন লাইন, যার মধ্যে রয়েছে পিট লাইন, সিক লাইন ও স্ট্যাবিলাইজিং লাইন। পাশাপাশি যুক্ত হচ্ছে আরও তিনটি নতুন প্ল্যাটফর্ম। এই স্টেশনটি ট্রেন অপারেশনকে আরও মসৃণ করে তুলবে।
নাসিক রোড স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম নম্বর ১ সম্প্রসারণের কাজ চলছে। বড় ট্রেনগুলির যাতায়াতের সুবিধার জন্য তৈরি হচ্ছে অতিরিক্ত পার্কিং লাইনও। ওধা স্টেশন ব্যবহার হয় মূলত তীর্থযাত্রী ও মালবোঝাই ট্রেনের জন্য। সেই গুরুত্ব মাথায় রেখে, সেখানে তৈরি করা হচ্ছে পাঁচটি স্ট্যাবিলাইজিং লাইন ও একটি তৃতীয় প্ল্যাটফর্ম। এতে ট্রেন চলাচলের সময়সীমা ও নমনীয়তা আরও বাড়বে। কাসবে সুখেনে ও খেরওয়াড়ি—এই দুটি স্টেশনে নির্মাণ করা হচ্ছে বৃহৎ দৈর্ঘ্যের ট্রেন সামলানোর জন্য উপযোগী প্ল্যাটফর্ম। কাসবে সুখেনে স্টেশন ২২-বাসগাড়ি এবং খেরওয়াড়ি স্টেশন ২৪-বাসগাড়ি ট্রেন চালাতে পারবে এমন পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে।
উল্লেখযোগ্য যে, প্রতিটি স্টেশনে তৈরি হচ্ছে একটি করে ‘মেলা টাওয়ার’। এই টাওয়ারে থাকবে সার্ভেইলেন্স সিস্টেম, অনাউন্সমেন্ট সুবিধা, কন্ট্রোল রুম এবং বড়সড় ফুটওভার ব্রিজ—যা জনসমাগম নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে। প্রকল্পের প্রায় ৫০% কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। অবশিষ্ট কাজ ও জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। লক্ষ্য, ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যে এই প্রকল্প সম্পূর্ণ করে তোলা।
পাঠকদের জিজ্ঞাস্য – প্রশ্ন ও উত্তর
১. Amrit Bharat Station Scheme-এর মূল উদ্দেশ্য কী?
এই স্কিমের লক্ষ্য রেলস্টেশনগুলিকে আধুনিক রূপে গড়ে তোলা, যাতে যাত্রী সুরক্ষা, পরিষেবা ও পরিবহন ব্যবস্থার মান উন্নত হয়।
২. কোন কোন স্টেশন এই উন্নয়নের আওতায় এসেছে?
নাসিক রোড, দেবলালি, ওধা, কাসবে সুখেনে ও খেরওয়াড়ি স্টেশন এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত।
৩. প্রতিটি স্টেশনে কোন ধরনের কাজ হচ্ছে?
দেবলালিতে নতুন লাইন ও প্ল্যাটফর্ম, ওধায় মালবাহী ও তীর্থযাত্রী ট্রেনের সুবিধায় অতিরিক্ত লাইন, অন্যদিকে বৃহৎ ট্রেন চলাচলের সুবিধায় প্ল্যাটফর্ম নির্মাণ করা হচ্ছে কাসবে সুখেনে ও খেরওয়াড়িতে।
৪. ‘মেলা টাওয়ার’ কী এবং কী কাজ করবে?
‘মেলা টাওয়ার’ মূলত জননিয়ন্ত্রণ, নজরদারি ও রেল পরিচালনার সহায়ক এক টাওয়ার, যাতে থাকবে সার্ভেইলেন্স ক্যামেরা, কন্ট্রোল রুম ও ব্রডকাস্টিং সিস্টেম।
৫. পুরো প্রকল্প কবে সম্পূর্ণ হবে?
২০২৬ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ কাজ শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারিত হয়েছে।