কিভাবে জন্ম হয়েছিল মা কালীর, জেনে নিন সেই প্রাচীন বৃত্তান্ত
কদিন আগে মহালয়া হল, অবশেষে পৃথিবীর বুকে মা আসছেন। স্বর্গ থেকে তার সন্তান সন্ততি নিয়ে ঠিক এক বছর পরে মায়ের আবার আগমন হচ্ছে। মা দূর্গার পুজোর পরে অমাবস্যা তিথিতে কালী পুজো হয়। কিন্তু এই মা কালীর জন্ম হলো কি করে? তার এমন রূপ নিয়ে রয়েছে নানা কাহিনী।
মনে করা হয়, কালী হলেন কালের স্ত্রী। ব্যাকরন হিসাবে কালের স্ত্রী লিঙ্গ কালী। এখানে দেবাদিদেব মহাদেব হলেন কাল। তাই কালী হলেন শিব অর্থাৎ কালের স্ত্রী।
স্বর্গের অসুরেরা যখন তান্ডব চালাচ্ছেন দেবতাদের স্বর্গরাজ্য দখলের জন্য ঠিক তখনই স্বর্গের শ্রেষ্ঠ দেবতারা সৃষ্টি করেন দেবী দূর্গাকে। আর সেই অসুরের প্রধান ছিলেন রক্তবীজ। তিনি ছিলেন ব্রহ্মার বরপ্রাপ্ত। ব্রহ্মার বর অনুসারে তার এক ফোঁটা রক্ত যদি মাটিতে পড়ে তাহলে তা থেকেই জন্ম নেবে আরেকটি অসুর। এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য মা দূর্গা তার ভ্রু যুগল এর মাঝখান থেকে জন্ম দেন মা কালীর।
সেই অসুরদের হারিয়ে প্রবল বিজয় নৃত্য নেচেছিলেন কালী। সেই অসুরের মুন্ড গুলো নিজের কোমরে এবং গলায় মালা করে পড়েছিলেন। কালীর এমন তাণ্ডব নৃত্যে সমস্ত কিছু যখন ধ্বংস হতে বসেছে এমন সময় এই সবকিছু বন্ধ করতে দেবাদিদেব মহাদেব তার সামনে শুয়ে পড়েন। আর নিজের স্বামীর গায়ে পা লেগে গেলে তখন তিনি জিভ কাটেন। তাই আমরা যে রূপে কালী কে দেখতে পাই সেখানে কালীর জিভ বার করা থাকে।