PM-Kisan সম্মান নিধি যোজনা কৃষকদের অর্থনৈতিক সহায়তার অন্যতম প্রধান প্রকল্প। প্রতি বছর তিন কিস্তায় ৬,০০০ করে প্রত্যেক উপযুক্ত কৃষকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দেওয়া হয়। ২০২৫ সালের জুলাই মাসে এই প্রকল্পের ২০তম কিস্তি ২,০০০ প্রদান করা হবে বলেই সরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে। তবে এই অর্থ পেতে গেলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম অবশ্যই মানতে হবে। প্রথমত, যাঁরা এখনও e-KYC সম্পূর্ণ করেননি, তাঁদের কিস্তি আটকে যেতে পারে। কারণ e-KYC ছাড়া কোনো উপভোক্তাকে অর্থ প্রদান করা হচ্ছে না। মোবাইল OTP বা বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে e-KYC এখন সহজেই সম্পন্ন করা সম্ভব।
দ্বিতীয়ত, আধার নম্বর এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সঠিকভাবে লিঙ্ক থাকতে হবে। লিঙ্ক না থাকলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টাকা প্রত্যাখ্যান হতে পারে। অনেক সময় দেখা যাচ্ছে, IFSC কোড ভুল থাকার কারণেও লেনদেন ব্যর্থ হচ্ছে। তাই এসব তথ্য ভালোভাবে যাচাই করা প্রয়োজন। তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল জমির রেকর্ডের স্বচ্ছতা। কৃষকের জমির মালিকানা সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের ডিজিটাল রেকর্ডে স্পষ্ট থাকতে হবে। যাঁদের জমির নথি অসম্পূর্ণ বা ভুল রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে কিস্তি বাতিল হতে পারে।
চতুর্থত, beneficiary তালিকায় নাম থাকা বাধ্যতামূলক। নাম না থাকলে বা পূর্বে বাতিল হয়ে গেলে পুনরায় আবেদন করতে হবে। শেষত, মোবাইল নম্বর আপডেট করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সব OTP বা নোটিফিকেশন মোবাইলেই আসে। নম্বর বদল হলে অনলাইন পোর্টালে গিয়ে তা সংশোধন করতে হবে। এইসব নিয়ম যথাযথভাবে মেনে চললে সময়মতো টাকা অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
প্রশ্নোত্তর (FAQ):
১. ২০তম কিস্তি কবে বিতরণ হবে?
→ সরকার জুলাই ২০২৫-এ কিস্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।
২. e-KYC বাধ্যতামূলক কেন?
→ এটি না থাকলে অর্থ প্রদান আটকে যাবে।
৩. আধার ও ব্যাংক লিঙ্কিং না থাকলে কী সমস্যা হবে?
→ পেমেন্ট প্রত্যাখ্যাত হবে বা ফিরিয়ে আসবে।
৪. জমির রেকর্ডে কী থাকলে কিস্তি মেলে?
→ ডিজিটাল মালিকানার প্রমাণ সঠিক থাকতে হবে।
৫. মোবাইল নম্বর না থাকলে কী হবে?
→ OTP ও নোটিফিকেশন না পেয়ে প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে।