কৃষকদের জন্য সুখবর হলেও কিছু সতর্কতার প্রয়োজন। জুন ২০২৫‑এ আসতে চলেছে PM-Kisan যোজনার ২০তম কিস্তির টাকা, কিন্তু আগে শেষ করতে হবে e-KYC প্রক্রিয়া—তা না হলে এই সুবিধা থেকে বাদ পড়ার আশঙ্কা। দেশজুড়ে প্রায় ৯.৮ কোটি কৃষক ইতিমধ্যে এই যোজনার অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। সরকার বছরে ৬,০০০ আর্থিক সহায়তা দেয়, যা তিনটি কিস্তিতে ভাগ করে কৃষকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়। গত ফেব্রুয়ারিতে ১৯তম কিস্তির টাকা জমা হয়েছে, আর এবার জুনে আসছে ২০তম কিস্তি, যার পরিমাণ হবে ২,০০০। তবে এই টাকা পেতে গেলে অবশ্যই কিছু প্রাথমিক শর্ত পূরণ করতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল e-KYC সম্পূর্ণ করা। OTP, biometric কিংবা face authentication—এই তিনটি পদ্ধতির মাধ্যমে অনলাইনে বা CSC-র (Common Service Centre) মাধ্যমে এটি করা যায়। এছাড়াও, কৃষকের আধার নম্বর সংশ্লিষ্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে লিঙ্ক থাকাও বাধ্যতামূলক।
যারা এই ফর্মালিটি সম্পন্ন করেননি, তাঁদের কিস্তির টাকা রোধ বা বিলম্বিত হতে পারে। সরকারি তরফে জানানো হয়েছে, জুনের মধ্যেই—২০ বা ৩০ তারিখের মধ্যে—e-KYC শেষ করা আবশ্যিক। গত কিস্তিতে ২২,০০০ কোটির বেশি অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল, যা ৯.৮ কোটি কৃষকের কাছে পৌঁছেছে। ফলে এবারও যে কিস্তি পৌঁছাবে, সে বিষয়ে প্রত্যাশা রয়েছে, তবে শর্ত পূরণ না করলে তা মেলাও নাও পারে। এই যোজনা কৃষকদের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য আর্থিক সহায়তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, বিশেষ করে ছোট এবং প্রান্তিক কৃষকদের জন্য। কিন্তু প্রতিটি কিস্তি পেতে হলে ফর্মালিটি সঠিকভাবে অনুসরণ করাটাই মূল চাবিকাঠি।
FAQs
১. PM‑Kisan‑এ বছরে মোট কত টাকা দেওয়া হয়?
→ বছরে ৬,০০০ দেওয়া হয়, তিনটি কিস্তিতে ভাগ করে।
২. ২০তম কিস্তি কবে দেওয়া হবে?
→ জুন ২০২৫‑এর মধ্যে জমা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যদিও নির্দিষ্ট দিন এখনো ঘোষণা হয়নি।
৩. e‑KYC কীভাবে করতে হয়?
→ OTP, biometric বা face authentication‑এর মাধ্যমে অনলাইনে অথবা CSC‑র মাধ্যমে করা যায়।
৪. আধার-ব্যাঙ্ক সংযোগ কি বাধ্যতামূলক?
→ হ্যাঁ, আধার নম্বর ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে হবে।
৫. e‑KYC না করলে কী সমস্যা হতে পারে?
→ কিস্তির টাকা জমা বন্ধ বা বিলম্ব হতে পারে।