ছোট ছোট সঞ্চয়ও যদি ঠিকভাবে বিনিয়োগ করা যায়, তা হলে সেটিই হয়ে উঠতে পারে ভবিষ্যতের কোটি টাকার পুঁজি। এমনই একটি শক্তিশালী সুযোগ দিচ্ছে ডাকঘরের বিশেষ সেভিংস স্কিম, যেখানে মাসে অল্প কিছু টাকা বিনিয়োগ করেই ধাপে ধাপে গড়ে তোলা যেতে পারে লক্ষ্যের থেকে অনেক বড় সঞ্চয়।এই স্কিমটি মূলত একটি রিকরিং ডিপোজিটের আদলে চলে। মাসে মাত্র ₹১,০০০ বা ₹২,০০০ জমিয়ে রাখা যেতে পারে এই স্কিমে, যার উপর বার্ষিক প্রায় ৭ থেকে ৮ শতাংশ হারে চক্রবৃদ্ধি সুদ পাওয়া যায়। এই হারে সুদ পেলে বিনিয়োগকৃত অর্থ প্রায় ৯ বছর ৭ মাসের মধ্যে দ্বিগুণ হয়ে যায়।
কীভাবে কাজ করে এই স্কিম?
যাঁরা দীর্ঘমেয়াদে ধৈর্য ধরে নিয়মিত বিনিয়োগ করতে পারেন, তাঁদের জন্য এই স্কিম হতে পারে সোনার হরিণ। প্রতি মাসে নির্দিষ্ট অঙ্ক জমা রেখে, সুদ সহ মূলধন বারবার পুনঃবিনিয়োগ করলে ২০-২৫ বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ পরিমাণ পৌঁছতে পারে ₹১ কোটি টাকারও বেশি।এই স্কিমটি খোলা যেতে পারে একক অ্যাকাউন্ট, যৌথ অ্যাকাউন্ট বা নাবালকের অভিভাবকের মাধ্যমে। বিনিয়োগের কোনও ঊর্ধ্বসীমা নেই, তবে কমপক্ষে ₹১০০ বা ₹১,০০০-এর গুণিতকে বিনিয়োগ করতে হয়।সুবিধার মধ্যে রয়েছে আয়কর ছাড়ের সুযোগ, যেখানে সেভিংসের উপর ইনকাম ট্যাক্স আইনের ৮০সি ধারা অনুযায়ী কর ছাড় পাওয়া যায়। তবে সুদের পরিমাণ করযোগ্য, নির্দিষ্ট সীমার বেশি হলে টিডিএস কাটতে পারে।
পরিপক্বতার সময় এবং তোলার নিয়ম
এই স্কিমে সাধারণত টাকা ১১৫ মাস বা প্রায় ৯ বছর ৭ মাস পর্যন্ত লক থাকে। সময়ের আগে টাকা তুললে কিছু জরিমানা বা কম সুদ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই পরিকল্পনা করেই বিনিয়োগ শুরু করা উচিত।
পাঠকের জিজ্ঞাসা (FAQ):
১. কীভাবে পোস্ট অফিস স্কিমে অ্যাকাউন্ট খোলা যায়?
– নিকটবর্তী কোনও পোস্ট অফিসে গিয়ে আধার, প্যান কার্ড এবং ছবি সহ অ্যাকাউন্ট খোলা যায়।
২. কত টাকা জমা রাখা বাধ্যতামূলক?
– প্রতি মাসে কমপক্ষে ₹১,০০০ বা ₹২,০০০-এর মতো ছোট অঙ্ক থেকেই শুরু করা যায়।
৩. কত দিনে দ্বিগুণ হয় টাকা?
– চক্রবৃদ্ধি সুদের ফলে প্রায় ৯ বছর ৭ মাসের মধ্যে অর্থ দ্বিগুণ হয়।
৪. এই স্কিমে কর ছাড়ের সুবিধা কী আছে?
– হ্যাঁ, ৮০সি-র অধীনে বার্ষিক ₹১.৫ লক্ষ পর্যন্ত কর ছাড় পাওয়া যায়।
৫. সময়ের আগে টাকা তুললে কী হবে?
– সময়ের আগে টাকায় হাত দিলে সুদের হার কমে যেতে পারে বা জরিমানা ধার্য হতে পারে।