শহরে ভিড় জমলেও, গ্রামাঞ্চলে আজও অনেক সময় ডাকসেবা পৌঁছাতে দেরি হয়। সেই সমস্যার সমাধান করতেই শুরু হয়েছে নতুন উদ্যোগ। পোস্ট মাস্টার জেনারেল ঘোষণা করেছেন, কিছু শহরমুখী সাব-পোস্ট অফিস বন্ধ করে সেই সম্পদ ব্যবহার করা হবে গ্রামীণ পরিষেবা উন্নত করতে। ডাক বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, শহরের এমন পোস্ট অফিস যেগুলি মূলত এজেন্টদের ছোটখাটো সেভিংস সংক্রান্ত কাজেই সীমাবদ্ধ, সেগুলো বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বন্ধ হওয়া অফিসগুলির রাউটার এবং অন্যান্য নেটওয়ার্ক যন্ত্র গ্রামে পাঠানো হবে। এই পদক্ষেপের ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ডাক বিভাগের পরিষেবা দ্রুত এবং সহজলভ্য হবে।
ইতিমধ্যে দার্জিলিং জেলার দুটি পোস্ট অফিস বন্ধ করে তাদের সরঞ্জাম স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এখানেই থেমে থাকছে না উদ্যোগ। উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলা ধাপে ধাপে এই পরিকল্পনায় যুক্ত হবে। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে নতুন ব্যবস্থা। গ্রামীণ পোস্ট অফিসগুলির জন্য ‘রোড ট্রান্সপোর্ট নেটওয়ার্ক’-এর আওতায় নতুন শিডিউল চালু হবে, যাতে সঠিক সময়ে ডাক পৌঁছে দেওয়া যায়। ডাক বিভাগ জানিয়েছে, মূল উদ্দেশ্য হল—গ্রামে দ্রুত আর কার্যকর সেবা পৌঁছে দেওয়া। শহরের অব্যবহৃত সম্পদকে কাজে লাগিয়ে গ্রামীণ অবকাঠামোকে আরও শক্তিশালী করার দিকেই এগোচ্ছে প্রশাসন। অনেক সময় গ্রামে ব্যাংক বা ডিজিটাল সুবিধা না থাকায় মানুষ পোস্ট অফিসের উপরেই নির্ভর করেন। সেই প্রয়োজন মাথায় রেখেই এই আধুনিকায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
প্রশ্নোত্তর (FAQ)
১. কেন শহরের কিছু পোস্ট অফিস বন্ধ করা হচ্ছে?
কারণ শহরের কয়েকটি পোস্ট অফিসে খুব সীমিত কাজ হয়। সেগুলো বন্ধ করে সম্পদ গ্রামীণ এলাকায় ব্যবহার করা হবে।
২. বন্ধ হওয়া পোস্ট অফিসগুলির সরঞ্জাম কোথায় ব্যবহার হবে?
বন্ধ হওয়া অফিসগুলির রাউটার ও নেটওয়ার্ক যন্ত্র গ্রামীণ পোস্ট অফিসে স্থানান্তর করা হবে।
৩. কোথায় এই প্রক্রিয়া প্রথম শুরু হয়েছে?
দার্জিলিং জেলার দুটি পোস্ট অফিস থেকে এই কাজের সূচনা করা হয়েছে।
৪. কবে থেকে নতুন শিডিউল চালু হবে?
আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে ‘রোড ট্রান্সপোর্ট নেটওয়ার্ক’-এর আওতায় গ্রামীণ পোস্ট অফিসে নতুন শিডিউল চালু হবে।
৫. এই পরিবর্তনের মূল উদ্দেশ্য কী?
গ্রামীণ পোস্ট অফিসগুলির পরিষেবা দ্রুত, আধুনিক এবং সহজলভ্য করা।