নাম না করে হুমকির অভিযোগ, লাইভে এসে কেঁদে ভাসালেন ‘প্রবাসে ঘরকন্না’র মহুয়া
বর্তমানে ইউটিউব (YouTube) দৈনন্দিন বিনোদনের একটা বড় জায়গা নিয়ে নিয়েছে। ইউটিউবে ভিডিও বানানো বা ভ্লগিং বিকল্প পেশা হিসেবে উঠে আসছে! বিভিন্ন স্তরের মানুষদের মধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে ভ্লগিং। অনেক ইউটিউবারও উঠছেন খ্যাতির শীর্ষে। এমনি একটি ইউটিউব চ্যানেল হল ‘প্রবাসে ঘরকন্না’ (Probase Ghorkonna)। ক্যালিফোর্নিয়া বাসী কলকাতার বাঙালি মহুয়া নিজের দৈনন্দিন জীবনযাপন এবং সেখানকার জীবনযাত্রার চিত্র তুলে ধরেন নিজের ইউটিউব ভিডিওতে। তাঁর আন্তরিক কথা বলার ধরণ, সাদামাটা উপস্থাপনা আর ছিমছাম, নিরহঙ্কার জীবন সবার মন ছুঁয়ে যায়। ৫ লক্ষ পেরিয়ে গিয়েছে তাঁর ইউটিউব সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা।
কিন্তু মিষ্টি ‘মহুয়া দি’র বিরুদ্ধেই এবার উঠল বিষ্ফোরক অভিযোগ। অভিযোগ তুললেন তাঁরই সতীর্থ, আরেকটি ইউটিউব চ্যানেল ‘বং ইন সুইডেন’। সুইডেনবাসী বাঙালি দম্পতি চন্দ্রিমা এবং মৈনাক এই চ্যানেলটি চালান। কিন্তু হঠাৎ দুই প্রবাসী বাঙালি ইউটিউবারের মধ্যে কীসের বিরোধ? আসলে সম্প্রতি বং ইন সুইডেন এর ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও আপলোড করেন ওই দম্পতি। প্রবাসে ঘরকন্নার নাম না করেই তাঁরা অভিযোগ করেন, ওই চ্যানেলের ফলোয়াররা তাঁদের চ্যানেলে এসে অশ্লীল মন্তব্য করে। তাঁদের বিরুদ্ধে অপবাদ দেওয়া হচ্ছে যে তাঁরা নিজের সন্তানকে ব্যবহার করছেন চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবার বাড়াতে।
আসলে চন্দ্রিমা জানান, তাঁদের সন্তান অটিজমে আক্রান্ত। তবে এখন সে প্রায় স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। কিন্তু একথা তাঁরা কখনো বলে সমবেদনা নিতে চান না। তবুও কোনো এক সময়ে মৈনাক নিজের সন্তানকে নিয়ে কিছু কথা বলে ফেলেছিলেন কোথাও, সেটার স্ক্রিনশট নিয়েই নাকি দাবি করা হচ্ছে, তাঁরা তাঁদের সন্তানকে ব্যবহার করছেন। কিন্তু একথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করে মৈনাক প্রবাসে ঘরকন্নার নাম না করে বলেন, ওই চ্যানেলের তরফে ফলোয়ারদের টাকা দিয়ে এসব করানো হচ্ছে।
এখানেই না থেমে এক রকম হুমকির সুরেই তিনি বলেন, সুইডেনের সরকার এখানকার বাচ্চাদের ব্যাপারে খুব কড়া। শিশুদের নিয়ে কিছু বললে অন্য দেশ থেকে নিয়ে এসেও সাজা হতে পারে। এরপরেই পালটা একটি ভিডিওতে উত্তর দেন প্রবাসে ঘরকন্নার মহুয়া। তিনি লাইভে এসে বলেন, এসবের কিছুই তিনি জানতেন না। তাঁর চ্যানেলে যা শেয়ার হবে সেটার দায় তাঁর। কিন্তু অন্য কোথায় কে কী করছে সেটার দায় তাঁর নয়। বলতে বলতেই হাউহাউ করে কেঁদে ফেলেন। মহুয়া আরো বলেন, তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়, আয় যেভাবে প্রকাশ করা হল এটা কার্যত মানহানি। পাশাপাশি নিজের ফলোয়ারদের উদ্দেশে তিনি আর্জি জানান, কোনো শিশুকে মাঝে না আনতে।