যাত্রীদের দীর্ঘদিনের দাবি অবশেষে পূরণ হল। পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও হাওড়ার মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন দিশা খুলে দিল ভারতীয় রেল। মাসাগ্রাম হয়ে পুরুলিয়া থেকে হাওড়াগামী নতুন MEMU (Mainline Electric Multiple Unit) ট্রেন পরিষেবা চালু হয়েছে গত ২৮ জুন ২০২৫। রেলমন্ত্রী নিজে এই ট্রেনটির উদ্বোধন করেন, যা এখন থেকে সপ্তাহে ৬ দিন চলবে। এই নতুন রুটটি কেবল যাত্রীসুবিধার কথা মাথায় রেখেই নয়, বরং রেলপথে দূরত্ব ও সময় দুই-ই সাশ্রয় করবে।
নতুন ট্রেনের সময়সূচি ও রুট
ট্রেন নম্বর ৬৮১২২ (পুরুলিয়া → হাওড়া)
-
ছাড়বে ভোর ৪:০০টায়
-
পৌঁছাবে হাওড়া প্রায় ১১:৪০টায়
-
সপ্তাহে ৬ দিন চলবে (শনিবার বাদে)
ট্রেন নম্বর ৬৮১২১ (হাওড়া → পুরুলিয়া)
-
ছাড়বে বিকেল ৪:১৫টায়
-
পৌঁছাবে রাত ১১:৫৫টায়
-
সপ্তাহে ৬ দিন চলবে (শুক্রবার বাদে)
রুটের বৈশিষ্ট্য
পুরোনো খড়গপুর রুটের তুলনায় এই রুটে ৪১ কিমি কম পথ পাড়ি দিতে হবে, মোট দূরত্ব দাঁড়াচ্ছে প্রায় ২৮৩ কিমি। একমুখী ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে মাত্র ৬০, যেখানে খড়গপুর রুটে ভাড়া পড়ে ৬৫। ফলে, ভ্রমণ এখন হবে সাশ্রয়ী ও সময়বাঁচানো—দু’দিক থেকেই লাভজনক। এই ট্রেনটি যেসব গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে থামবে সেগুলি হল—হাওড়া, লিলুয়া, বেলুড়, বালি, দানকুনি, মাসাগ্রাম, বাঁকুড়া, আদ্রা প্রভৃতি। ফলে শহর থেকে জেলার সংযোগ যেমন মজবুত হবে, তেমনই ছুটির দিনে বা কাজের প্রয়োজনে যাতায়াত সহজতর হবে বহু মানুষের জন্য।
যাত্রীদের জন্য বড় সুবিধা
এই ট্রেন চালুর ফলে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গের বহু মানুষের ভ্রমণ খরচ ও সময় একসঙ্গে বাঁচবে। জেলার লোকজন সহজেই কলকাতা শহরের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন, আর হাওড়া থেকেও বাঁকুড়া-পুরুলিয়ার মতো এলাকায় যেতে সহজ হবে। রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে যাত্রীসংখ্যা অনুযায়ী ট্রেনের ফ্রিকোয়েন্সি বাড়ানোর কথাও ভাবা হচ্ছে।
প্রশ্নোত্তর (FAQ):
১. এই ট্রেনটি কবে থেকে চালু হয়েছে?
২৮ জুন ২০২৫ থেকে পরিষেবা শুরু হয়েছে।
২. ট্রেনটি কোন কোন দিন চলে না?
পুরুলিয়া থেকে ছেড়ে শনিবারে চলে না, হাওড়া থেকে ছেড়ে শুক্রবারে চলে না।
৩. নতুন রুটে মোট দূরত্ব কত কিমি?
এই রুটে মোট প্রায় ২৮৩ কিমি পথ কভার করে ট্রেনটি।
৪. একমুখী টিকিট ভাড়া কত?
একমুখী ভাড়া নির্ধারিত হয়েছে ৬০।
৫. কোন কোন গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে এই ট্রেন থামে?
হাওড়া, লিলুয়া, বেলুড়, বালি, দানকুনি, মাসাগ্রাম, বাঁকুড়া ও আদ্রা সহ একাধিক স্টেশনে থামে।