ভারতীয় রেল ব্যবস্থার উন্নয়নে আরও একধাপ এগোল কেন্দ্র। দেশজুড়ে যাত্রী সুবিধা ও সংযোগ ব্যবস্থাকে আরও জোরদার করতে ১৬ থেকে ২০ কোচের লোকাল ট্রেন চালুর পরিকল্পনা নিয়েছে রেল মন্ত্রক। সম্প্রতি এক সরকারি অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এই উদ্যোগের ফলে দৈনিক যাত্রীদের জন্য অপেক্ষার সময় যেমন কমবে, তেমনই ট্রেনে ভিড়ের চাপও অনেকটাই হ্রাস পাবে।
এই পরিকল্পনার অন্তর্গত প্রথমত, বর্তমানে শিয়ালদহ, হাওড়া ও অনুরূপ রুটে যে লোকাল ট্রেনগুলি ১০ থেকে ১২ কোচে চলে, সেগুলিকে ভবিষ্যতে ১৬ থেকে ২০ কোচে রূপান্তর করা হবে। এর পাশাপাশি দেশজুড়ে প্রায় ১০০টি নতুন মেইনলাইন ইলেকট্রিক মাল্টিপল ইউনিট (MEMU) ট্রেন চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যার প্রতিটিতেই থাকবে ১৬ থেকে ২০টি বগি। এই নতুন ট্রেনগুলি হবে সম্পূর্ণ আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর এবং স্বল্পদূরত্বের যাত্রীদের জন্য উপযোগী।দ্বিতীয়ত, ৫০টি নতুন নামো ভারত এসি ট্রেন যুক্ত করা হচ্ছে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে। যাত্রীদের আরামদায়ক যাত্রার কথা মাথায় রেখেই এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। এই এসি ট্রেনগুলি অপেক্ষাকৃত উচ্চমানের পরিষেবা দেবে।
এই ট্রেনগুলির নির্মাণের জন্য অন্ধ্রপ্রদেশের কাজিপেট-এ একটি নতুন কারখানা স্থাপন করা হয়েছে। এই কারখানাতেই তৈরি হবে দীর্ঘ বগির MEMU ট্রেনগুলি। ফলে স্থানীয় কর্মসংস্থান বৃদ্ধির দিকেও নজর দেওয়া হয়েছে।এই ঘোষণাগুলি দেওয়া হয়েছে সম্প্রতি হরিয়ানার মানেসরে অনুষ্ঠিত দেশের সবচেয়ে বড় গতি শক্তি মাল্টিমোডাল কার্গো টার্মিনালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। সেখানে রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, দেশের পরিবহন ও লজিস্টিক পরিকাঠামোকে বিশ্বমানে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে এই ধরণের প্রকল্প অত্যন্ত জরুরি।
FAQ (প্রশ্নোত্তর)
১. ১৬-২০ কোচের ট্রেন কবে থেকে চালু হতে পারে?
এখনও নির্দিষ্ট দিন ঘোষণা না হলেও, রেলমন্ত্রকের পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী এক-দু’বছরের মধ্যেই ধাপে ধাপে চালু হবে।
২. নতুন MEMU ট্রেনগুলো কোথায় ব্যবহার করা হবে?
মূলত স্বল্প ও মাঝারি দূরত্বের রুটে, যেখানে দৈনিক যাত্রীর চাপ বেশি।
৩. নামো ভারত এসি ট্রেনের বিশেষত্ব কী?
উচ্চমানের এসি কোচ, আধুনিক প্রযুক্তি ও আরামদায়ক যাত্রা—এই ট্রেনগুলির মূল বৈশিষ্ট্য।
৪. কাজিপেট কারখানার গুরুত্ব কী?
এই কারখানাতেই নতুন, বড় কোচের ট্রেন নির্মিত হবে। এর ফলে উৎপাদন ব্যয় কমবে এবং স্থানীয় কর্মসংস্থান বাড়বে।
৫. এই প্রকল্পে যাত্রীদের কী ধরনের সুবিধা হবে?
বিশেষ করে অফিসগামী ও নিত্যযাত্রীদের জন্য দাঁড়িয়ে যাত্রার ঝামেলা অনেকটাই কমবে। এছাড়া যাতায়াতে সময় ও ভিড় কমবে।