Bengali SerialHoop Plus

প্রথমেই ঘুরিয়ে দিয়েছে টিআরপির খেলা, কোন গোপনে মন ভেসেছে-র সাফল্য নিয়ে মুখ খুললেন রণজয়

সপ্তাহ দুয়েক হল জি বাংলায় পথচলা শুরু করেছে ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’ (Kon Gopone Mon Bhesechhe)। একেবারে নতুন জুটি নিয়ে হাজির হয়েছে। যেখানে বেশিরভাগ সিরিয়ালে নতুন মুখ দেখা যাচ্ছে, সেখানে একগুচ্ছ নতুন পুরনো মুখ নিয়েই প্রথম থেকে ছক্কা হাঁকিয়ে চলেছে কোন গোপনে মন ভেসেছে ধারাবাহিকটি। সিরিয়ালে মুখ্য চরিত্রে দেখা যাচ্ছে শ্বেতা ভট্টাচার্য এবং রণজয় বিষ্ণুকে। এই প্রথম তাঁরা একসঙ্গে কোনো সিরিয়ালে একসঙ্গে কাজ করছেন। আর প্রথম বারেই দর্শকদের মন ছুঁয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন তাঁরা।

প্রথম দুই সপ্তাহেই টিআরপি তালিকার সেরা পাঁচে জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছে কোন গোপনে মন ভেসেছে। শ্বেতা বরাবর হিট সিরিয়াল উপহার দেওয়ার জন্যই জনপ্রিয়। জড়োয়ার ঝুমকো থেকে যমুনা ঢাকি, সারা বাংলার দর্শকদের মন জিতেছিল। শুধু শ্বেতার শেষ সিরিয়াল ‘সোহাগ জল’ই টিআরপি তুলতে ব্যর্থ হয়েছে। মাত্র ছয় মাস চলেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ধারাবাহিকটি। তবে কোন গোপনে মন ভেসেছে প্রথম থেকেই খেলা ধরে নিয়েছে।

প্রথম দুই সপ্তাহেই টিআরপি তালিকার পঞ্চম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে এই নতুন সিরিয়ালটি, যা নিঃসন্দেহে ভালো লক্ষণ। অর্থাৎ দর্শকরা পছন্দ করছে সিরিয়ালটি। ধারাবাহিকের সাফল্য নিয়ে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন নায়ক অনিকেত ওরফে রণজয় বিষ্ণু। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, কোনো কিছু ভালো হওয়া মানেই দায়িত্ব বেড়ে যাওয়া। এবারেও তাই হয়েছে। আরো ভালো কাজ করার দায়িত্ব বেড়ে গিয়েছে। রণজয় আরো বলেন, চিরাচরিত সিরিয়ালের মতো এখানে সেই অর্থে কোন্দল নেই বলেই হয়তো দর্শকদের ভালো লাগছে। তবে এই ভালো লাগাটা যাতে ভবিষ্যতেও বজায় থাকে সেটাই তিনি চান।

প্রসঙ্গত, কোন গোপনে মন ভেসেছে ধারাবাহিকে শ্যামলী বাবা মায়ের মৃত্যুর পর ছোট দুই ভাইকে মানুষ করে। কিন্তু ভাইরা বড় হয়ে বউদের সঙ্গে মিলে পদে পদে অপদস্থ করে দিদিকে। শেষমেষ উত্তরবঙ্গের শ্যামলী চলে আসতে বাধ্য হয় কলকাতায়। আর সেখানেই তার আলাপ বিদেশ ফেরত অনিকেতের সঙ্গে। ঘটনাচক্রে অনিকেতের বাড়িতেই গিয়ে ওঠে শ্যামলী। সিরিয়ালে তার চরিত্রটিকে একেবারেই গোবেচারা, খানিক নির্বোধ ধরণেরও দেখানো হচ্ছে। কিন্তু শেষমেষ শ্যামলীর কপালে কী অপেক্ষা করে রয়েছে সেটাই দেখার।

Related Articles