দীর্ঘ ১০ বছর পর আবারও দেশে খুলতে চলেছে নতুন ব্যাঙ্কের দরজা। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI) জানিয়েছে, খুব শীঘ্রই তারা নতুন ব্যাঙ্ক লাইসেন্স ইস্যুর প্রক্রিয়া শুরু করবে। এই ঘোষণার ফলে ভারতের ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্তের সূচনা হতে চলেছে। নতুন নীতির আওতায় শুধু দেশীয় সংস্থা নয়, বিদেশি সংস্থারাও ভারতের ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে প্রবেশাধিকার পেতে পারে। ২০১৬ সালের পর থেকে কোনও নতুন বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক লাইসেন্স দেওয়া হয়নি। মূলত বড় কর্পোরেট হাউসদের আবেদন নিষিদ্ধ করায় ওই সময় থেকে এই প্রক্রিয়া স্থগিত ছিল। তবে এবার আরবিআই নতুন করে নীতিমালার খসড়া তৈরি করছে, যা বর্তমান অর্থনৈতিক চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে।
বিদেশি ব্যাঙ্ক ও সংস্থাগুলির আগ্রহ ক্রমেই বাড়ছে। ইতিমধ্যেই একটি বিদেশি সংস্থাকে ইয়েস ব্যাঙ্কে অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির অনুমতি দেওয়া হয়েছে এবং আরও কিছু সংস্থা আইডিবিআই ব্যাঙ্কে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে। আরবিআই এবার সেই ধারাকেই সম্প্রসারিত করতে চায়। সংশোধনী প্রস্তাবে পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্কগুলিতে বর্তমান ২০% FDI সীমা বাড়ানোর সম্ভাবনা থাকলেও, সরকার মূল মালিকানা বজায় রাখবে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়া NBFC ও ছোট লেন্ডারদের প্রবেশ সহজ করতে চায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, যাতে দক্ষিণ ভারতের মতো অঞ্চলে আরও সহজে ঋণ পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া যায়। এই পদক্ষেপ দেশের অর্থনৈতিক গতি বাড়ানোর পাশাপাশি আরও বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পৌঁছে দিতে সাহায্য করবে। যদিও বাস্তবায়নের নির্দিষ্ট তারিখ এখনও ঘোষণা করা হয়নি, তবে নীতি সংশোধনের দিকনির্দেশ ইতিমধ্যেই স্পষ্ট।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQs)
১. আরবিআই শেষ কবে ব্যাঙ্ক লাইসেন্স ইস্যু করেছিল?
২০১৬ সালের পর থেকে আর কোনও নতুন বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কের লাইসেন্স দেওয়া হয়নি।
২. নতুন লাইসেন্স কারা পেতে পারে?
দেশীয় NBFC, ছোট লেন্ডার ছাড়াও বিদেশি সংস্থা ও ব্যাঙ্কগুলিও নতুন লাইসেন্স পেতে পারে।
৩. FDI সীমা কতটা বাড়ানো হতে পারে?
পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্কে বর্তমান ২০% সীমা থেকে তা আরও বাড়ানোর চিন্তাভাবনা চলছে।
৪. ইয়েস ব্যাঙ্ক বা আইডিবিআই-তে বিদেশি আগ্রহ কেমন?
ইয়েস ব্যাঙ্কে ইতিমধ্যেই একটি বিদেশি সংস্থাকে অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির অনুমতি দেওয়া হয়েছে এবং আইডিবিআই-তেও বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছে একাধিক বিদেশি সংস্থা।
৫. এই নীতিগত পরিবর্তনের মূল লক্ষ্য কী?
ব্যাঙ্কিং পরিষেবার বিস্তার, ঋণ সহজলভ্যতা ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণ নিশ্চিত করাই এর মূল উদ্দেশ্য।