বাংলা মিডিয়ামে পড়লে কর্পোরেটে চাকরি পাওয়া যায়না, কেন এমন মন্তব্য আর.জে অয়ন্তিকার!
বাংলা মিডিয়ামে পড়া ও চাকরি পাওয়া নিয়ে বিতর্ক বরাবরের। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে আর.জে অয়ন্তিকা (Rj Ayantika)-র বলা কিছু কথা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিতর্ক সভার বিষয়টি ছিল বাংলা ভাষা কি শুধুমাত্র চ্যাটিং-এর বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে নাকি তা নিয়ে চলছে চর্চাও! এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অয়ন্তিকা জানিয়েছিলেন, বিষয়টি পুরোটাই গোড়ায় গলদ।
এই কারণেই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দারা বাঙালি ও তাঁদের মাতৃভাষা বাংলা হলেও তা রক্ষা করতে রাজ্য সরকারের কোনও উদ্যোগ নেই। ফলে এখনও কলকাতার বুকে কেউ চাকরির ইন্টারভিউ দিতে গেলে তাঁকে ইংরাজিতে প্রশ্ন করা হয়। অয়ন্তিকার মতে, পশ্চিমবঙ্গে এই নিয়ম থাকা উচিত, চাকরির পরীক্ষাতেও বাংলায় প্রশ্ন করতে হবে। বর্তমানে মা-বাবারা নিজেদের সামর্থ্যের বাইরে গিয়েও বাংলা মিডিয়ামের পরিবর্তে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াচ্ছেন। কারণ তাঁদের মধ্যে এই মনোভাব কাজ করছে, বাইরে যেতে হলে অথবা পশ্চিমবঙ্গের চাকরি করতে হলে ইংলিশ জানা প্রয়োজন।
View this post on Instagram
অয়ন্তিকার বহু বাংলা মিডিয়ামে পড়া বন্ধু রয়েছেন যাঁরা একটা সময়ের পর ইংলিশ বলতে না পারার জন্য ভালো চাকরির সুযোগ হারিয়েছেন। অনেকে ইংরাজি ভালো লিখতে পারলেও বলতে না পারার জন্য বঞ্চিত হয়েছেন। তবে ব্যতিক্রম আছে। অনেকে বাংলা মিডিয়ামে পড়েও ভালো ইংরাজি বলেন। ফলে তাঁদের অসুবিধায় পড়তে হয় না। কিন্তু সেই অংশকে বাদ দিলে সার্বিক পরিস্থিতির কথা বোঝাতে চেয়েছেন অয়ন্তিকা। ইদানিং ইংরাজি বলতে অভ্যস্ত না হয়ে অনেকে কর্পোরেট চাকরি ছেড়ে সরকারি চাকরির দিকে ঝুঁকছেন।
অয়ন্তিকার মতে, কার্যক্ষেত্রে যদি শুধু বাংলায় কাজ করা যেত, তাহলে ইংরাজি জানার প্রয়োজন পড়ত না। ইংরাজিকে প্রয়োজনীয় করে তোলা হয়েছে। এই কারণেই অয়ন্তিকা গোড়ায় গলদ থাকার কথা বলেছেন। ভারতে শুধুমাত্র নিজের মাতৃভাষা নিয়ে কেউ উন্নতি করে নজির গড়েছেন, এমনটা জানা নেই অয়ন্তিকার। কারণ ব্রিটিশ আমলের নিয়ম অনুসরণ করে চলার ফলে সমাজের কাঠামোয় ইংরাজিকে আরোপ করা হয়েছে।
বিতর্ক সভার পর থেকেই অয়ন্তিকাকে যাঁরা ট্রোল করছেন, তাঁরা কিন্তু বাংলা-ইংরাজি মেশানো দো-আঁশলা ভাষাতেই ট্রোল করছেন। কিন্তু অয়ন্তিকা ওই বিতর্ক সভায় তাঁর মতামত পোষণ করেছেন। তিনি কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেননি।